Bangladesh
This article was added by the user . TheWorldNews is not responsible for the content of the platform.

দেশে ব্যাংকগুলোর বড় সমস্যা খেলাপি ঋণ: গভর্নর

দেশের ব্যাংকগুলোর বড় সমস্যা খেলাপি ঋণ। এর প্রধান কারণ হলো ব্যাংকগুলো শর্ট টাইম ডিপোজিট নেয় আর লং টার্ম ইনভেস্ট করে। এ কারণে খেলাপি ঋণ বাড়ছে। 

সোমবার (৩ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) বিশ্ব বিনিয়োগকারী সপ্তাহ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বক্তব্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শেখ মোহাম্মদ সেলিম উল্লাহ। 

গভর্নর বলেন, ব্যাংক থেকে টাকা নিলে প্রতি প্রান্তিকে টাকা দিতে হয়। পরপর দুই বার দিতে না পারলে ডিফল্ডার হয়ে যাচ্ছে। আর ক্যাপিটাল মার্কেট থেকে অর্থ নিলে বছরে একবার ডিভিডেন্ড দিতে হয়। 

তিনি বলেন, পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে উদ্যোক্তারা লং টার্ম ফাইন্যান্সিং ক্যাপিটাল মার্কেট থেকে করে। আর শর্ট টার্ম ফাইন্যান্সিং, ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল, ট্রেড ফাইন্যান্স ব্যাংকগুলো থেকে নেয়। কিন্তু আমাদের দেশে সেটা এখনও গড়ে ওঠেনি। 

তিনি আরও বলেন, আমি গভর্নর হিসেবে যোগদানের পর দেখলাম; কোনও ব্যাংক বন্ড ইস্যু করলে অন্য ব্যাংক তার পুরোটাইতে বিনিয়োগ করে। কারণ এই বিনিয়োগ শতভাগ নিরাপদ। পরে আমরা ৫০ শতাংশ বাইরে বিক্রি করতে হবে বলে শর্ত দিলাম। তাতে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ও বন্ডে বিনিয়োগের সুযোগ পাচ্ছে। 

গভর্নর বলেন, যদি আমরা বন্ড মার্কেটকে উন্নত করতে পারি তাহলে আমাদের উদ্যোক্তারা ক্যাপিটাল মার্কেটে আসবে। এ মার্কেট থেকে উদ্যোক্তারা লং টার্মের জন্য অর্থ নেবে। তখন খেলাপি ঋণ থাকবে না।

বন্ড মার্কেটকে উন্নয়নে সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন কাজ করছে। এ লক্ষে আমরা ট্রেজারি বন্ডগুলোকে লেনদেনের জন্য প্রস্তুত করেছি। আগামী সপ্তাহ থেকে ট্রেজারি বন্ধ পুঁজিবাজারে লেনদেন হবে বলে আশা করছি। 

সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ২০১৮ সালে দেখলাম ৪১ থেকে ৪২ হাজার কোটি টাকার সঞ্চয় পত্র বিক্রি হয়েছে। এরমধ্যে একজন ব্যক্তি দেড়শ কোটি টাকা বা তার বেশি অর্থ সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করতে দেখা গেছে। এক শ্রেণীর লোক সঞ্চয়পত্রের সুবিধা ভোগ করলেও সাধারণ মানুষ তার সুযোগ কম নিচ্ছে। তখন আমরা সঞ্চয়পত্রে অটোমেশন সিস্টেম চালু করি। এরপর একটি ব্যাংক থেকে একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র কিনতে পারে। পরবর্তীতে সুদের হার কমাতে সরকারকে পরামর্শ দিই। কিন্তু সরকার সাধারণ মানুষের স্বার্থে সঞ্চয়পত্রে ১৫ লাখ পর্যন্ত সুদের হার কমায়নি।  তার বেশি বিনিয়োগ করলে পর্যায়ক্রমে সুদের হার কমানোর নিয়ম করা হয়েছে। এতে সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ কমেছে। 

এখন সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ না করে ক্যাপিটাল মার্কেটে বিনিয়োগের পরামর্শ দিয়েছেন গভর্নর।