নীলফামারীর ডোমারে ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় মহাবীর ব্যানার্জী (২৪) নামের র্যাবের এক কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
এর আগে, বিকেলে ডোমার থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা করেন ভুক্তভোগী নারী। মহাবীর ব্যানার্জী দিনাজপুর জেলার কাহারোল উপজেলার কেউটপাড়া এলাকার কালী মোহন ব্যানার্জীর ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, বনিবনা না হওয়ায় এক বছর আগে স্বামীর বিরুদ্ধে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছিলেন (জিডি) ভুক্তভোগী নারী। বিষয়টি তদন্তের দায়িত্ব পান সে সময়ে ডোমার থানার এসআই মহাবীর। তদন্তের সময় ওই নারীর সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তোলেন তিনি।
ছয়মাস আগে ডোমার থানা থেকে র্যাবে বদলি হন মহাবীর। তবে তাদের মধ্যে মোবাইলে যোগাযোগ অব্যাহত ছিল। একপর্যায়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে গত বুধবার (৫ অক্টোবর) ওই নারীকে ধর্ষণ করেন মহাবীর। বিষয়টি বুঝতে পেরে স্থানীয়রা তাকে আটক করে।
ভুক্তভোগী নারী বলেন, ‘এর আগে, গত ২৮ সেপ্টেম্বর বিয়ের প্রলোভনে সে আমাকে ধর্ষণ করে। গতকালের ঘটনার পর মীমাংসায় বসা হয়েছিল। কিন্তু মহাবীর বিয়েতে রাজি হয়নি। যে কারণে থানায় মামলা করতে হয়েছে।’
এ বিষয়ে ডোমার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুম আহমেদ বলেন, ‘পৌরসভার কাউন্সিলের মাধ্যমে খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে যাই। তাদের কথাবার্তায় মনে হয়েছে তাদের মধ্যে একটা সম্পর্ক ছিল। অভিযুক্ত ব্যক্তির অভিভাবক না আসায় তাকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে।’
ডোমার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদ উন নবী বলেন, ‘মামলার প্রেক্ষিতে আসামি মহাবীরকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আদালতে হাজির করা হয়। ভুক্তভোগী নারীর ডাক্তারি পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে।’
কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মোমিনুল ইসলাম মোমিন বলেন, ‘আদালতে হাজির করা হলে বিজ্ঞ আদালত আসামিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।’
