Bangladesh
This article was added by the user . TheWorldNews is not responsible for the content of the platform.

দুলাভাইকে বিয়ে করতে শ্যালিকার কাণ্ড!

দুলাভাইকে বিয়ে করতে শ্যালিকার কাণ্ড!

দুলাভাইকে বিয়ে করতে শ্যালিকার কাণ্ড!

এমটি নিউজ২৪ ডেস্ক : দুলাভাইকে বিয়ে করতে শ্যালিকার কাণ্ড! রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলায় বিয়ের দাবিতে দুলাভাইয়ের বাড়িতে অনশন কর্মসূচি পালন করছে এক স্কুলছাত্রী। এ সময় ওই ছাত্রী আত্মহত্যার চেষ্টাও করেছে বলে জানা গেছে।

শনিবার (১ অক্টোবর) সকাল পর্যন্ত ওই ছাত্রী তার কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছে। তিনদিন পেরিয়ে গেলেও ওই ছাত্রী বিয়ের দাবিতে তার সিদ্ধান্তে অনড় রয়েছে। একাধিক বৈঠক আর মীমাংসার চেষ্টা করেও কোনো সমাধানে আসতে পারেনি উভয় পক্ষ।

স্থানীয়রা জানান, উপজেলার শঠিবাড়ীর খামার এলাকার দূরসম্পর্কের দুলাভাইয়ের (দুই সন্তানের জনক) সঙ্গে পাশের গ্রামের উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীর (১৫) প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

সেই প্রেমের সূত্র ধরে গত ২৮ সেপ্টেম্বর দুপুর ১২টার দিকে ওই ছাত্রী প্রেমিকের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অবস্থান নেয় এবং তার পরিবার সম্পর্ক মেনে না নিলে মাত্রাতিরিক্ত চেতনানাশক সেবন করে। এছাড়া ব্লেড দিয়ে কাটাছেঁড়া করে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। এ সময় গুরুতর অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে মিঠাপুকুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

বিষয়টি মীমাংসার উদ্দেশ্যে উপজেলা চেয়ারম্যান জাকির হোসেন সরকারের বাড়িতে উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে উপজেলা চেয়ারম্যানকে ওই ছাত্রী জানায়, যেকোনো মূল্যে সে ওই প্রেমিককে বিয়ে করতে চায়। পরে উপজেলা চেয়ারম্যানের নির্দেশে ওই ছাত্রীকে তার বাবার হাতে তুলে দেয়া হয়। কিন্তু ওই ছাত্রী তার বাবার সঙ্গে না গিয়ে পুনরায় বিয়ের দাবিতে ওই যুবকের বাড়িতে অবস্থান নেয়।

ঘটনার তিনদিন পেরিয়ে গেলেও কোনো সমাধান না হওয়ায় স্থানীয় লোকজন অস্বস্তি প্রকাশ করে বলেন, ওই ছাত্রীকে নিয়ে আমরা খুব চিন্তায় আছি। বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন আসছে। উভয় পক্ষ কোনো সমাধান না করায় ওই ছাত্রী অসুস্থ অবস্থায় পড়ে আছে। কখন কী করে বলা যায় না।

অভিযুক্ত যুবকের ( ২৭) বাড়িতে গেলে বাড়ির গেট তালাবদ্ধ থাকায় কারো বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। পরে ওই ছাত্রীর চাচা জানান, বাড়িতে গেলেও মেয়ে আত্মহত্যা করতে পারে। তাই সমাধানের চেষ্টা চলছে। উপজেলা চেয়ারম্যান জাকির হোসেন সরকার জানান, নাবালিকা মেয়ে, বিয়ের বয়স হয়নি, তাই তাকে বুঝিয়ে তার বাবার সঙ্গে পাঠিয়ে দিয়েছি। 

মিঠাপুকুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজার রহমান জানান, এ বিষয়ে কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।