Bangladesh
This article was added by the user . TheWorldNews is not responsible for the content of the platform.

দূরে থেকেও দলের সবাইকে নজরে রেখেছেন সাকিব

নিউ জিল‌্যান্ডে দলের সঙ্গে নেই নির্বাচক কমিটির কোনো প্রতিনিধি। নির্বাচক কমিটির প্রধান মিনহাজুল আবেদীন নান্নু যাবেন অস্ট্রেলিয়ায়। ৭ অক্টোবর সিরিজ শুরু হলেও এখনো দলের সঙ্গে যোগ দিতে পারেননি সাকিব আল হাসান। তিনি পৌঁছাবেন স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সন্ধ‌্যায়। ২৪ ঘণ্টারও কম সময় পর নেমে যাবেন টস করতে।

সাকিব দলের সঙ্গে যোগ দিতে না পারলেও দলের খবরাখবর ঠিকই নিচ্ছেন। দলের কে কি করছেন, কোন পরিকল্পনায় দল চলছে সব তার নখদর্পণে। অস্ট্রেলিয়া সিরিজের আগে এই ত্রিদেশীয় সিরিজ নিজেদের পরীক্ষা-নিরীক্ষার শেষ সুযোগ। সেরা কম্বিনেশন সাজিয়ে দল অস্ট্রেলিয়ায় পা রাখবে বলে বিশ্বাস নির্বাচক হাবিবুল বাশারের।

বুধবার (০৫ অক্টোবর) এক অনুষ্ঠানে হাবিবুল বিশ্বকাপ প্রস্তুতি ও ত্রিদেশীয় সিরিজ নিয়ে নানা উত্তর দিয়েছেন গণমাধ‌্যমে—

ত্রিদেশীয় সিরিজটি বিশ্বকাপের আগে কতটা গুরুত্বপূর্ণ?
হাবিবুল বাশার সুমন:
নিশ্চিতভাবে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আপনি বিশ্বকাপের আগে সারা বছর যা করেছেন, ঠিক বিশ্বকাপের আগে কি করছেন সেটা খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়। ওই বিশ্বকাপের সময়  দলটা কতটা ফর্মে আছে, খেলোয়াড়রা কতখানি ফর্মে আছে, সেটা অনেক কিছু গুরুত্ব বহন করে। অনেক সময় এ রকম হয় যে, একটা খেলোয়াড় সারা বছর ফর্মে আছেন, দল ভালো করছে, বিশ্বকাপের আগেই ফর্মটা হারিয়ে ফেললেন, তারপর আর হয় না। এ রকম অভিজ্ঞতা আমাদের আগেও হয়েছে। আমি আশা করব যে, এই সিরিজটা আমরা যেন ভালো খেলি, দলগত হিসেবে, ব‌্যক্তিগতভাবে তাহলে সেটা আমাদের নিশ্চিতভাবে বিশ্বকাপে অনেক সাহায্য করবে।

পাকিস্তান তো দারুণ ফর্মে। নিউ জিল‌্যান্ড বরাবরই শক্তিশালী নিজেদের মাটিতে। সিরিজটিকে কিভাবে দেখছেন?
হাবিবুল বাশার সুমন:
আমাদের যাদের সঙ্গে খেলা হচ্ছে তারা কিন্তু কঠিন প্রতিপক্ষ। দু’দলেরই হয়তো এই বিশ্বকাপ জেতার অনেক বড় সুযোগ আছে, নিউ জিল্যান্ড এবং পাকিস্তান। একটা ভালো সিরিজ খেলেই কিন্তু আমরা বিশ্বকাপে যাচ্ছি। প্রস্তুতিটা কিন্তু খুব ভালো হবে। আশা করছি আমরা ভাল খেলব, যদি ভাল খেলতে পারি সেটা বিশ্বকাপে সাহায‌্য করবে।

ওপেনিংয়ে আমরা যে এখনও থিতু হতে পারিনি...এবার কি সেই সমস‌্যা কাটবে?
হাবিবুল বাশার সুমন:
আমাদের শান্ত (নাজমুল হোসেন) আছে ওপেনার হিসেবে। আমার মনে হয় টিম ম্যানেজমেন্ট সবার আগে আমাদের সর্বোচ্চটা (ওপেনিং পজিশনে কারা খেলবে) তৈরি করে ফেলবে এ সিরিজে যে, বিশ্বকাপে আমরা কাদের নিয়ে খেলব। বিশ্বকাপে গিয়ে কিন্তু দেখার সুযোগ থাকবে না। এখানে হয়তো টিম ম্যানেজমেন্ট আরেকটা কম্বিনেশন চিন্তা করতে পারেন। শেষ সুযোগ আমাদের এই টুর্নামেন্ট। আমার মনে হয়, টিম ম্যানেজমেন্ট দেখবেন অন্য কাউকে ওপেনিং করানো যায় কী না বা এটা নিয়েই বিশ্বকাপে যাবেন কী? এই সিরিজে যারা ওপেন করবেন টপ অর্ডার খেলবে তারাই বিশ্বকাপে কন্টিনিউ করবেন।

যদি ইনজুরি হয়, তাহলে তো চেঞ্জ করতেই হবে। কিন্তু পারফরম্যান্স বিচারে আমরা এভাবে ভাবছি না, আমাদের তো একটা সুযোগ আছে ১৮ তারিখ পর্যন্ত, যদিও সে বিষয়ে এখনো আলাপ করিনি। আমরা চাচ্ছি যারাই খেলুক তারা নির্ভার হয়ে খেলুক। এখন কেউ পারফরম্যান্সের চাপ নিক, দলে সুযোগ পাওয়ার চাপ নিক, সেটা আমরা আসলে চাই না। আমরা চাই সবাই নির্ভার হয়ে খেলুক, তাহলেই মনে হয় আমরা আমাদের সেরা ক্রিকেটটা খেলতে পারব।

দুবাইয়ে হাসান মাহমুদকে খেলানো হয়নি। এবার কি তার সুযোগ হবে? যেহেতু সামনে বিশ্বকাপও আছে?
হাবিবুল বাশার সুমন:
হাসান মাহমুদকে না খেলানোর কারণ ইনজুরি থেকে উঠে আসছিল। ওর রিহ্যাব তখনও শেষ হয়নি। যেহেতু আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়। বিশ্বকাপ দলে আছেন, ওকে যেন বিশ্বকাপে খেলানো যায় সে চিন্তা করে খেলাইনি। শরিফুলও আমাদের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়। আমাদের যখন দরকার হয় তাকে যেন তৈরি পাই, সেজন্য খেলানো হয়েছে। হাসান মাহমুদ নিউ জিল্যান্ড থেকেই শুরু করবে।

দলের সঙ্গে এখনও অধিনায়ক যোগ দেননি। পরিকল্পনায় কোনো ঘাটতি কি থাকবে? তিনি তো অনুশীলনে কোনো খেলোয়াড়কে দেখতেও পারলেন না? 
হাবিবুল বাশার সুমন:
অধিনায়ক চলে আসবেন। নিশ্চিতভাবে তাকে দল মিস করছে। তবে এশিয়া কাপে দুবাইতে কিন্তু আমরা অনেক সময় কাটিয়েছি। তখন দলের সঙ্গে অধিনায়ক অনেক সময় দিয়েছে, সবাইকে নিয়ে ওয়ান টু ওয়ান বসেছে, আমি সেটা দেখেছি। এখানে সিরিজটা খুব গুরুত্বপূর্ণ, শুরুতে আসতে পারলে ভালো হতো। বিশ্বকাপের আগেই আমাদের বেশ কিছুদিন সময় আছে। এ খেলোয়াড়গুলোকে আমাদের অধিনায়ক ভালো করে চেনেন, আমি দেখেছি তাদের সঙ্গে প্রায় একসঙ্গে বসেন। তার যে চিন্তা ভাবনা তিনি ইতোমধ্যে খেলোয়াড়দের জানিয়েছেন এবং আমি যতদূর জানি তার সঙ্গে সবাইর মোটামুটি যোগাযোগ আছে। কে কি করছে সব তার নজরে আছে।