Bangladesh
This article was added by the user . TheWorldNews is not responsible for the content of the platform.

জলবায়ু অভিযোজনের চেয়ে প্রশমনে গুরুত্ব দেয়া উচিত

ঢাকা-৯ আসনের সংসদ সদস্য এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, অঞ্চল ভিত্তিক কৃষি ও শস্য আবাদ একটা ভালো সমাধান হতে পারে। তবে আমাদের উচিত জলবায়ু সুসামঞ্জস্য কৃষির চেয়েও জলবায়ু পরিবর্তন প্রশমনে আরও মনোযোগী হওয়া ও পদক্ষেপ গ্রহণ করা।

বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে জলবায়ু সুসামঞ্জস্য কৃষি বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে জলবায়ু সহনশীল কৃষির কার্যকারিতা মূল্যায়ন শিরোনামে একটি গবেষণা প্রতিবেদনের ফলাফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্বে করেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর আতিকুল ইসলাম। অনুষ্ঠানটির উদ্বোধন করেন ওয়ার্ল্ড ভিশনের ন্যাশনাল ডিরেক্টর সুরেশ বার্টলেট। গবেষণা প্রতিবেদনের ওপর মুক্ত আলোচনা সঞ্চালনা করেন ওয়ার্ল্ড ভিশনের সিনিয়র ডিরেক্টর (অপারেশন্স অ্যান্ড প্রোগ্রাম কোয়ালিটি) চন্দন জেড গোমেজ। আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ এবং নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের এই যৌথ গবেষণায় প্রান্তিক মানুষের জীবিকায়নে জলবায়ু সুসামঞ্জস্য কৃষির মাধ্যমে কিভাবে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা যায় সে বিষয়ে সম্ভাব্য সমাধান খোঁজা হয়। জাতীয় পর্যায়ের বিশেষজ্ঞদের নিয়ে বাংলাদেশের চর, উপকূল,বন্যাপ্রবণ এবং পাহাড়ী অঞ্চলের সাতটি জেলায় এই গবেষণা পরিচালনায় নেতৃত্ব দিয়েছেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. মো. জাকারিয়া।

গবেষণা প্রতিবেদনের ফলাফলের সুপারিশে উঠে আসে, জলবায়ু সামঞ্জস্য কৃষি শস্যের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে বন্যাপ্রবণ অঞ্চলে জনবল বৃদ্ধি করে সরকারের উচিত বাৎসরিক বা নিয়মিত ভিত্তিতে দুর্যোগ সহনশীল শস্যের সমতা যাচাই করা। উপকূল অঞ্চলে প্রান্তিক চাষীদের লাভবান করতে সরকারের উচিত বিশেষ উদ্যোগের মাধ্যমে চাষীদের প্রণোদনা প্রদান করা। চর অঞ্চলের প্রান্তিক চাষিদের পণ্য পরিবহন সুবিধা ও বাজার সংযোগ তৈরী করে দেয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর পাহাড়ী অঞ্চলে কৃষির জন্য সরকারের উচিত পৃথক নীতিমালা গ্রহণ করা।

এনজে