Bangladesh
This article was added by the user . TheWorldNews is not responsible for the content of the platform.

জন্মগত হাইপোথাইরয়েড রোগ নির্ণয়ে প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত

নবজাতকের মধ্যে জন্মগত হাইপোথাইরয়েড রোগের প্রাদুর্ভাব শনাক্তকরণ প্রকল্পের আওতায় ‘ড্রায়েড ব্লাড স্পট (ডিবিএস) বা শুকনো রক্তের দাগ পদ্ধতিতে নবজাতকের রক্তের নমুনা সংগ্রহ, সংরক্ষণ, ও জন্মগত থাইরয়েড হরমোনের অভাবজনিত রোগ নির্ণয়’ শিরোনামে দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (৮ জুন) রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউক্লিয়ার মেডিসিন এন্ড অ্যালায়েড সায়েন্সেস-নিনমাসের অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় ওই কর্মশালা। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাপশক চেয়ারম্যান ড. মো. আজিজুল হক।

নিনমাসের পরিচালক অধ্যাপক ডা. শামিম মমতাজ ফেরদৌসি বেগমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাপশকের সদস্য (জীব বিজ্ঞান) অধ্যাপক ডা. অশোক কুমার পাল।

দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত প্রশিক্ষণ কর্মশালায় জন্মগত হাইপোথাইরয়েডিজম শনাক্তকরণ কর্মসূচির সঙ্গে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল থেকে আগত প্রায় ১৫০ জন নার্স বা মেডিকেল টেকনোলোজিস্ট অংশ নেন।

এতে বক্তারা শিশুর জন্মলগ্নেই জন্মগত হাইপোথাইরয়েডিজম নির্ণয়ের ক্ষেত্রে নবজাতকের জন্মগত রোগ শনাক্তকরণ পদ্ধতির ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন। বিশেষ ফিল্টার ব্যবহার করে ডিবিএস পদ্ধতিতে নবজাতকের জন্মের সঙ্গে সঙ্গে নাড়ি থেকে অথবা জন্মের দুই থেকে পাঁচ দিনের মধ্যে পায়ের গোড়ালি থেকে রক্ত সংগ্রহ কার্যক্রম সম্পর্কে নার্সদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।

নিনমাস ও বাপশকের ইন ভিট্রো বিভাগের প্রধান ও প্রকল্প পরিচালক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার-উল-আজিম ‘নবজাতকের জন্মগত হাইপোথাইরয়েড রোগের প্রাদুর্ভাব শনাক্তকরণ কার্যক্রম’ তুলে ধরেন। তিনি আগত প্রশিক্ষণার্থীদের চলমান প্রকল্পের মাধ্যমে নবজাতকের রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে জন্মগত হাইপোথাইরয়েডিজম শনাক্তকরনের লক্ষ্যে দেশব্যাপী নবজাতকের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে এবং জন্মগত হাইপোথাইরয়েডিজম রোগে আক্রান্ত শিশুকে উপযুক্ত চিকিৎসার মাধ্যমে শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধিতার অভিশাপ থেকে রক্ষা করছে।

নিনমাস, ঢাকায় জন্মগত হাইপোথাইরয়েডিজম সনাক্তকরণের বিশেষায়িত গবেষণাগার ছাড়াও এ প্রকল্পের মাধ্যমে নবজাতক শিশুর জন্মগত হাইপোথাইরয়েডিজম শনাক্তকরণ বিষয়ে জন সচেতনতা বৃদ্ধি এবং জন্মগত রোগ সনাক্তকরন বিষয়ে চিকিৎসক, নার্স, হেলথ টেকনোলোজিস্ট, প্যারাম্যাডিকস, স্বাস্থ্যকর্মী এবং এনজিও কর্মীদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশে জন্মগত হাইপোথাইরয়েডিজমের প্রাদুর্ভাব বিষয়ে অধিক পরিমান তাৎপর্যপূর্ণ উপাত্ত সংগ্রহ করা হবে, যা পরবর্তীতে জন্মগত হাইপোথাইরয়েডিজম সনাক্তকরন বিষয়ে জাতীয় নীতি প্রণয়ন করতে সংশ্লিষ্ট পেশাজীবী মহল ও নীতি নির্ধারকদের জন্য সহায়ক হবে।

ডি- এইচএ