ঠিকানা লেখা খামের সূত্র ধরে বের হয়ে এলো নিহতদের পরিচয়। বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২টায় বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্বপ্রান্তে বাস-মাইক্রোবাসের সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে মাইক্রোবাসের চালক ও দুই যাত্রী নিহত হন। গুরুতর আহত মাইক্রোবাসের আরেক যাত্রীকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানোর পর মৃত্যু হয়।
এ দুর্ঘটনায় মোট ছয় জন নিহত হয়। এর মধ্যে দুই জন বাসের যাত্রী।
লাশগুলো রাখা হয় বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব থানায়। দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া মাইক্রোবাসটিও থানার সামনে আনা হয়। কিন্তু বিকেল পর্যন্তও নিহতদের নাম পরিচয় পাওয়া যাচ্ছিল না। মাইক্রোবাসের ভিতর থেকে বিকেলে বঙ্গবন্ধু সেতু থানার উপসহকারী পরিদর্শক শফিকুল ইসলাম একটি খাম উদ্ধার করেন। ওই খামে লেখা ছিল ঠিকানা ও মুঠোফোন নম্বর।
ঠিকানা লেখা ছিল ‘ময়নাল হোসেন, পিতা: দুলাল হোসেন, মাতা: পারভীন বেগম, গ্রাম- কুটুম্বপুর, উপজেলা চান্দিনা, জেলা কুমিল্লা।’
খামটি পেয়ে উপসহকারী পরিদর্শক শফিকুল ইসলাম ওই নম্বরে ফোন করেন। অপরপ্রান্তে ফোন ধরেন ময়নাল হোসেন। মাইক্রোবাস দুর্ঘটনা ঘটেছে সংবাদটি জানানো হয় ময়নাল হোসেনকে।
ময়নাল হোসেন জানান, তার বাবা দুলাল হোসেন মাইক্রোবাসের চালক। কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টের সেনা কর্মকর্তার স্বজনরা বগুড়া যাওয়ার জন্য তার বাবার মাইক্রোবাসটি ভাড়া নিয়েছে। পরে ময়নালের চাচাকে ফোনে বিস্তারিত ঘটনা জানায় পুলিশ। তাদের মাধ্যমে বের হয়ে আসে মাইক্রোবাসের আরোহীদের পরিচয়।
সন্ধ্যায় ময়নাল হোসেন মুঠোফোনে রাইজিংবিডিকে জানান, বাবার মতো তিনিও মাইক্রোবাস চালক। চাকরির জন্য বাবার কাছে জীবনবৃত্তান্ত দিয়েছিলেন। ওই খামের উপর লেখা ছিল ঠিকানা। বাবা দুলাল হোসেন মাইক্রোবাসের মধ্যে রেখেছিলেন খামটি। আর এর সূত্র ধরে তার এবং মাইক্রোবাসের অন্য সকল আরোহীর পরিচয় বের হয়ে আসে।