Bangladesh
This article was added by the user . TheWorldNews is not responsible for the content of the platform.

কক্সবাজারে সৈকতে তীব্র ভাঙন

দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে সাগর অস্বাভাবিক উত্তাল হয়ে উঠেছে। যার প্রভাবে সৈকতজুড়ে তীব্র ভাঙন সৃষ্টি হয়েছে। তবে অন্যান্য পয়েন্টের তুলনায় লাবণী পয়েন্ট বেশি ভাঙনের কবলে পড়েছে।

বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঢেউয়ের আঘাতে লাবণী পয়েন্টের বেশ কয়েকটি জিও ব্যাগ ছিঁড়ে গেছে। এছাড়া ওই এলাকার ট্যুরিস্ট পুলিশের হেল্প ডেস্কও ভেঙে গেছে।

লাবণী পয়েন্ট ছাড়াও জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে কলাতলী, কবিতা চত্বর ও ডায়াবেটিক পয়েন্ট। এতে সৌন্দর্যহীন হয়ে পড়ছে সৈকত।

ঢাকার ডেমরা থেকে আসা পর্যটক নাসিম হায়দার বলেন, ‘পরিবার নিয়ে কক্সবাজারে বেড়াতে আসার পর থেকে সমুদ্রে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত। এমন আবহাওয়ায় কিছুই ভালো লাগছে না। সমুদ্র উত্তাল থাকার কারণে পানিতেও নামতে পারছি না।’

রাজশাহী থেকে আসা পর্যটক ইবনুল শামীম বলেন, ‘সৈকতে হেঁটে বেড়াব বলে কক্সবাজার আসলাম। কিন্তু ভাঙনের ফলে হাঁটা ঝুঁকি হয়ে পড়েছে। সৈকত জুড়ে ইট ভাঙা ও কাঠের টুকরো এদিক সেদিক পড়ে আছে।’

এদিকে ভাঙন ঠেকাতে দ্রুত সময়ের মধ্যে জরুরি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী ড. তানজির সাইফ আহমেদ।

তিনি বলেন, ‘বর্ষা মৌসুমে ভাঙন একটু বাড়ে। কয়েক বছর ধরে সৈকতে ভাঙনের তীব্রতা বেড়েছে। ইতোমধ্যে যেসব পয়েন্টের জিও ব্যাগ ছিঁড়ে গেছে সেগুলো পুনরায় ঠিক করা হচ্ছে। এমনকি ভাঙন রোধে স্থায়ীভাবে টেকসই পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে।’

কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. আবু সুফিয়ান বলেন, ‘জোয়ারের পানিতে যেসব পয়েন্টে ভাঙন সৃষ্টি হয়েছে। আমরা সেগুলো সরেজমিনে গিয়ে দেখেছি। পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে সমন্বয় করে পুনরায় জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে।’

কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের প্রধান আবহাওয়াবিদ আবদুল হামিদ মিয়া বলেন, ‘সমুদ্রে এখনো ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত বহাল রয়েছে।’