Bangladesh
This article was added by the user . TheWorldNews is not responsible for the content of the platform.

মা-মেয়ের এই জীবন সংগ্রামের কাহিনি সিনেমাকেও হার মানায়!

মা-মেয়ের এই জীবন সংগ্রামের কাহিনি সিনেমাকেও হার মানায়!

মা-মেয়ের এই জীবন সংগ্রামের কাহিনি সিনেমাকেও হার মানায়!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মেয়ে হওয়ার পর ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন স্বামী। মেয়ে মাধ্যমিকে ৯৬ শতাংশ নম্বর পেতেই যেন সার্থকতা পেল মায়ের আত্মমর্যাদার লড়াই। উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগর কল্যানগড় এলাকার একটি বাড়ির পিছনে ছোট্ট ঘর ভাড়া নিয়ে কোনওমতে বসবাস মা মহুয়া সেন চক্রবর্তী ও মেয়ে তুলি সেনের। মা-মেয়ের এই জীবন সংগ্রামের কাহিনি সিনেমাকেও হার মানায়!

মেয়েকে নিয়ে সংসার ত্যাগ,যারা দিনের পর দিন শুধু সমালোচনা করে এসেছে তাদের যোগ্য জবাব দিল সেই মেয়ে মাধ্যমিকে ৯৬ শতাংশ নম্বর পেতেই যেন সার্থকতা পেল মায়ের আত্মমর্যাদার লড়াই।

মেয়ে সন্তান  হওয়ায় মা-এর লড়াই শুরু। মেয়েকে নিয়ে সংসার ত্যাগ,যারা দিনের পর দিন শুধু সমালোচনা করে এসেছে তাদের যোগ্য জবাব দিল সেই মেয়ে। এ যেন কোন ছায়াছবির গল্প। মেয়ে হওয়ার পর ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন স্বামী। 

সেই থেকে স্বামীর সঙ্গে আর কোনও সম্পর্ক ছিল না। স্বামী ছেড়ে দেওযার পর মেয়েকে আঁকড়ে মায়ের লড়াই শুরু হয়েছিল। মেয়ে মাধ্যমিকে ৯৬ শতাংশ নম্বর পেতেই যেন সার্থকতা পেল মায়ের আত্মমর্যাদার লড়াই। 

রেজাল্ট পেতেই মাকে জড়িয়ে আনন্দে চোখে জল মেয়েরও। উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগর কল্যানগড় এলাকার একটি বাড়ির পিছনে ছোট্ট ঘর ভাড়া নিয়ে কোনওমতে বসবাস মা মহুয়া সেন চক্রবর্তী ও মেয়ে তুলি সেনের। 

মহুয়া দেবী জানালেন, মেয়ে হওয়ার কারণে তিনি অনেক যন্ত্রণা সহ্য করেছেন। এমনকী, স্বামীর সংসার ছেড়ে বেরিয়ে আসতে হয় মেয়েকে নিয়ে। সন্তানকে মানুষের মতো মানুষ করে তুলতে শুরু হয় মহুয়াদেবীর জীবনসংগ্রাম।

সংগীতকেই পেশা হিসেবে বেছে নেন তিনি। সংগীত শিক্ষিকা হিসেবে পরিচিত মহল থেকে খোঁজ পাওয়া বেশ কয়েকটি বাড়িতে গান শেখাতে শুরু করেন। তাতে যেটুকু রোজগার হয় তা দিয়েই সব কিছু করতে হয়। 

মেয়ের পড়াশোনা থেকে শুরু করে সংসার খরচ সবই করতে হয় তাঁকে। বরাবরই জেদ ছিল মহুয়াদেবীর। আর সেখান থেকেই খারাপ পরিস্থিতিকে কোনও গ্রাহ্য না করেই লড়াই শুরু করেন তিনি। 

আসলে তিনি বিশ্বাস করতেন যে মেয়েরা ফেলনা নয়। পাশে দাঁড়ালে তারাও পুরুষের থেকে যে কোনও বিষয়ে এগিয়ে যাওয়ার ক্ষমতা রাখে। এই লক্ষ্য নিয়ে মেয়েকে প্রতিষ্ঠিত করতে লড়াই শুরু করেছিলেন তিনি। 

মেয়েকে ভর্তি করেন অশোকনগর বাণীপীঠ বিদ্যালয়ে। এবছর মাধ্যমিকে ৬৭৪ নম্বর পেয়ে পাশ করে তুলি সেন। এত ভালো রেজাল্টের পরও তুলির আক্ষেপ, "যদি মেধা তালিকায় ১০-এর মধ্যে নাম তুলতে পারতাম তবে আরও ভালো হত।" এবার তুলির লক্ষ্য সামনের দিকে এগিয়ে চলা। ভবিষ্যতে ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেছে এই মেধাবী ছাত্রী।

মেয়ে ভালো রেজাল্ট করেছে। যারা এতদিন শুধুই সমালোচনা করেছে তাদের যোগ্য জবাব দেওয়া গেলেও তুলির মা মহুয়া সেন চক্রবর্তী দুঃখপ্রকাশ করে জানালেন, "এত কম উপার্জনে কি মেয়ের ভবিষ্যতের স্বপ্নপূরন করতে পারব?" এই চিন্তাই এখন গ্রাস করছে তাঁকে। সূত্র: এই সময়