টাইব্রেকারকে বলা হয় ভাগ্য পরীক্ষা। কিন্তু সেই ভাগ্য পরীক্ষায় জাপান হেরেছে বলা যাবে না। টাইব্রেকারে তিন-তিনটি শট মিস করে তারা। তাকুমি মিনামিনো, কাওরু মিতোমা ও মায়া ইয়োশিদা মিস করেন।
তাদের শটগুলো ক্রোয়েশিয়ার গোলরক্ষক ডমিনিক লিভাকোভিচ রুখে দিয়ে নায়ক বনে যান। গড়েন রেকর্ডও। বিশ্বকাপের ইতিহাসে তিনি হলেন তৃতীয় গোলরক্ষক যিনি পেনাল্টি শ্যুটআউটে তিন-তিনটি সেভ করেছেন। তার আগে ২০০৬ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পর্তুগালের রিকার্ডো আর ২০১৮ বিশ্বকাপে ডেনমার্কের বিপক্ষে ক্রোয়েশিয়ার দানিয়েল সুবাসিচ তিনটি করে সেভ করেছিলেন পেনাল্টি শ্যুটআউটে।
অন্যদিকে ক্রোয়েশিয়ার নিকোলা ভ্লাসিচ, মার্সেলো ব্রোজোভিচ ও মারিও প্লাসিচ গোল করেন। মিস করেন মার্কো লিভাজা।
অথচ জার্মানি ও স্পেনকে হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়া জাপান পুরো ম্যাচে দারুণ লড়াই করে ক্রেয়াটদের বিপক্ষে। ৪৩ মিনিটে মায়েদার গোলে লিডও নিয়েছিল তারা। ৫৫ মিনিটে ইভান পেরিসিকের গোলে ফেরে সমতা। আর টাইব্রেকারে ৩-১ ব্যবধানে জিতে কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করে নেয় ক্রোয়েশিয়া।
১৯৯৮ সাল থেকে বিশ্বকাপে খেলা জাপানের পথ যেন দুইভাগে বিভক্ত। তারা ১৯৯৮, ২০০৬ ও ২০১৪ বিশ্বকাপে গ্রুপপর্বে পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে থেকে বিদায় নিয়েছিল। আর ২০০২, ২০১০, ২০১৮ আর ২০২২ সালে শেষ ষোলো থেকেই বিদায় নেয়।
অন্যদিকে পেনাল্টি ভাগ্য দারুণ সুপ্রসন্ন ক্রোয়েশিয়ার। এ নিয়ে তারা টানা তিন পেনাল্টি শ্যুটআউট জিতলো। আজ জাপানকে হারানোর আগে ২০১৮ বিশ্বকাপে শেষ ষোলোতে ডেনমার্ককে এবং কোয়ার্টার ফাইনালে রাশিয়াকে হারিয়েছিল টাইব্রেকারে। সবশেষ ২০১০ বিশ্বকাপে প্যারাগুয়ের কাছে টাইব্রেকারে হেরেছিল তারা।