Bangladesh
This article was added by the user . TheWorldNews is not responsible for the content of the platform.

মৃত ক্রেতার পরিবার পেলো ওয়ালটনের আর্থিক সুবিধা 

মাত্র ৮ হাজার টাকা জমা দিয়ে ওয়ালটন থেকে ৩৫ হাজার টাকা মূল্যের ফ্রিজ কিনেছিলেন হালিমা খাতুন। ৪ হাজার ৬০০ টাকা করে প্রদান করেন একে একে তিন কিস্তি। কিন্তু চতুর্থ কিস্তির আগেই ঘটে অঘটন। সড়ক দুর্ঘটনায় অকাল প্রয়াণ হয় তার। এ অবস্থায় কিস্তির বাকি টাকা আদায়ের পরিবর্তে হালিমা খাতুনের পরিবারের পাশে দাঁড়ালো দেশের শীর্ষস্থানীয় ইলেক্ট্রনিক্স জায়ান্ট ওয়ালটন গ্রুপ। পাওনা টাকা মওকুফ করে তুলে দিলো আর্থিক সুবিধার চেক।

হালিমা খাতুনের বাড়ি পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার বলরামপুর এলাকায়। তিনি সেখানকার আব্দুস সালামের স্ত্রী।

সোমবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেলে উপজেলার বলরামপুর এলাকায় আনুষ্ঠানিকভাবে মৃত ক্রেতার স্বামী আব্দুস সালামের হাতে মোট ২৬ হাজার ১৯২ টাকার চেক তুলে দেন ওয়ালটনের ডিভিশনাল ক্রেডিট ম্যানেজার জাহিদুল ইসলাম।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- ওয়ালটনের রিজিওনাল সেলস ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেন, ক্রেডিট ম্যানেজার সিরাজুল ইসলাম, বোদা বাজার ওয়ালটন প্লাজার ম্যানেজার সুমন আলী, পঞ্চগড় জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য মাজেদুর রহমান বকুল, স্থানীয় ইউপি সদস্য আমিনুল ইসলাম প্রমূখ।

চলতি বছরের ৫ মে পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলা বাজারস্থ ওয়ালটন প্লাজা থেকে কিস্তি সুবিধায় ফ্রিজ কিনেছিলেন হালিমা খাতুন। সেই সময় নগদ ৮ হাজার টাকা এবং পরবর্তী তিন কিস্তিসহ মোট ২১ হাজার ৮০০ টাকা পরিশোধ করেন। কিন্তু পরবর্তী কিস্তির সময় আসার আগেই সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান তিনি।

হালিমা খাতুনের স্বামী আব্দুস সালাম বলেন, ‘গত ২৭ আগস্ট ঠাকুরগাঁও থেকে মোটরসাইকেল যোগে বাড়ি ফেরার পথে আমার মোটরসাইকেল থেকে সড়কে ছিটকে পড়ে মারা যায় আমার স্ত্রী। সেই সময় ফ্রিজের কিস্তি চলমান থাকলেও কিস্তির বাকি টাকা আমাকে পরিশোধ করতে হয়নি। কিস্তি আদায়ের পরিবর্তে আমার পরিবারের খোঁজ খবর নিয়েছে এবং পাশে দাঁড়িয়েছে ওয়ালটন। সর্বোপরি আজকে আর্থিক সুবিধা পেলাম তাদের পক্ষ থেকে।’

এ জন্য ওয়ালটনকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন তিনি।

ওয়ালটনের ডিভিশনাল ক্রেডিট ম্যানেজার জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘ওয়ালটন কিস্তি ক্রেতা সুরক্ষা নীতি’র আওতায় মৃত ক্রেতার পরিবারকে আর্থিক সুবিধার চেক হস্তান্তর করা হয়েছে। এটা কোনো সহায়তা বা অনুদান নয়। ওয়ালটন মনে করে, দেশের মানুষের কাছে পণ্য বিক্রি করে প্রতিষ্ঠানটি আজ এত বড় হয়েছে। তাই দেশের মানুষের প্রতি তাদের একটা দায়িত্ব রয়েছে। সেই দায়িত্ববোধ থেকে এই ‘কিস্তি ক্রেতা সুরক্ষা নীতি’।

তিনি বলেন, কিস্তি চলমান অবস্থায় ক্রেতা বা তার পরিবারের কোনো সদস্য মারা গেলে পণ্যের মূল্যভিত্তিক ৫০ হাজার টাকা থেকে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত আর্থিক সুবিধা প্রদান করছে ওয়ালটন।