সময়ের কণ্ঠস্বর, রাজশাহী: বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় গণসমাবেশ শনিবার (৩ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় শুরু হয়েছে। মঞ্চে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের জন্য দুটি আসন ফাঁকা রাখা হয়। এগুলোতে তাদের ছবি রাখা হয়েছে।
রাজশাহীর হাজী মুহম্মদ মহসীন সরকারি উচ্চবিদ্যালয় মাঠে (মাদ্রাসা মাঠ) জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে গণসমাবেশের কার্যক্রম শুরু হয়। এরপর শুরু হয় জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) সংগীত পরিবেশন। তবে সমাবেশের মূল অনুষ্ঠান শুরু হবে দুপুর ১২টা দিকে।
সমাবেশ শুরুর সময় মঞ্চে দলের কেন্দ্রীয় কোনো নেতা উপস্থিত না থাকলেও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনুসহ কয়েকজন ছিলেন।
এর আগে সকালে মাদ্রাসা মাঠের দুটি গেটের তালা খুলে দিলে বিএনপির নেতাকর্মীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে জড়ো হতে থাকেন। সমাবেশস্থল থেকে আশপাশের প্রায় দেড় কিলোমিটার এলাকাজুড়ে লাগানো হয়েছে দেড় শতাধিক মাইক।
সমাবেশ প্রস্তুতির মিডিয়া উপ-কমিটির আহ্বায়ক তোফাজ্জল হোসেন তপু বলেন, ‘ঢাকা থেকে জাসাসের কেন্দ্রীয় নেতারা এসছেন। এছাড়া বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে জাসাসের শিল্পীরা কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছেন।’
সমাবেশে আসা নেতাকর্মীরা বলছেন, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের হুমকি-বাঁধা, লাঠি নিয়ে সড়কে অবস্থান ও যানবাহন থেকে নামিয়ে দেওয়ার পরও রাজশাহীর গণসমাবেশস্থলে জড়ো হয়েছেন তারা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জনাকীর্ণ হয়ে উঠছে সমাবেশস্থল। স্লোগান আর মিছিলে মিছিলে মুখর হয়ে উঠেছে পুরো এলাকা।
সমাবেশস্থলে আসা রাজশাহীর বাঘা উপজেলার বিএনপি কর্মী আজিজুর রহমান বলেন, ‘আমাদের ইউনিয়ন থেকে প্রায় হাজার খানেক লোক এসেছে। মোড়ে মোড়ে পুলিশের চেকপোস্টে তল্লাশির কারণে আমরা পদ্মা নদী দিয়ে ট্রলারে করে গণসমাবেশে এসেছি। তারপরও পথে বাধা সৃষ্টি করা হয়েছে।’
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বিজয় বশাক বলেন, ‘সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে দুপুর ২টা থেকে। তবে তারা এখনই শুরু করেছে। আমাদের অতিরিক্ত দেড় হাজার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন রয়েছে। পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে থাকবে।’