Bangladesh
This article was added by the user . TheWorldNews is not responsible for the content of the platform.

নিস্তব্ধ ঘুমধুম তুমব্রু সীমান্ত, স্বস্তি মানুষের মনে

নাইক্ষ্যংছড়ির সীমান্তের তুমব্রুর ওপারে মর্টারশেল ছোঁড়া নিয়ে মাসখানেক আতঙ্কিত ছিল সীমান্তবাসী ও জিরো লাইনের মানুষেরা। বলতে গেলে, এতোদিন উত্তেজনা সব মিয়ানমার অভ্যন্তরে। গোলাগুলিও হচ্ছিল মিয়ানমারে। আচমকা কিছু মটর গোলা আর গুলির খোসা আসছিল বাংলাদেশ ভূখণ্ডে। তবে সীমান্ত পরিস্থিতি ধিরেধিরে স্বাভাবিক হয়ে আসছে। সীমান্ত এখন নিস্তব্ধ। স্বস্তি এসেছে মানুষের মনে। নির্ভয়ে স্কুলে যাচ্ছেন ছাত্রছাত্রীরা। জুমিরা যাচ্ছেন জুমে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য দিল মোহাম্মদ ভুট্টো জানান, বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের মিয়ানমার সীমান্ত এলাকায় দীর্ঘদিন পর গোলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছেনা। বন্ধ হয়েছে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টার ও যুদ্ধ বিমান থেকে ছোঁড়া গুলির শব্দ।

সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে এ রিপোর্ট পাঠানো পর্যন্ত কোনো ধরনের গোলাগুলির শব্দ পাওয়া যায়নি বলে জানালেন সীমান্ত ঘেষা তুমব্রু বাজার সার্বজনীন দুর্গা মন্দির কমিটির সভাপতি রুপলা ধর।

সরেজমিনে সীমান্তের সোনাইছড়ি, বরইতলী, বৈদ্দের ছড়া, গর্জন বুনিয়া, বাইশ পাড়ী, তুমব্রু ঘুমধুম ইউনিয়ন এলাকা ঘুরে স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, দীর্ঘ একমাস পর সীমান্তে আজ গোলাগুলির শব্দ বন্ধ রয়েছে। এতে স্থানীয় লোকজনের মাঝে কিছুটা স্বস্তি ফিরে এসেছে কৃষকেরা নির্ভয়ে কাজে ফিরছেন।

রেজু গর্জন বুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছৈয়দ হামজা বলেন, প্রতিদিন মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর গোলাগুলিতে বিদ্যালয়ে বিকট শব্দ শোনা যেত। এতে ছাত্র-ছাত্রীদের মনে আতঙ্ক দেখা দেয়। কিন্তু অনেক দিন পর গোলাগুলির শব্দ শুনা যাচ্ছেনা তাই ছাত্র ছাত্রীরা নির্ভয়ে স্কুলে এসেছে এবং আগের মত উপস্থিতি ও অনেক বেশি।

সরজমিন আরও জানা যায়, সীমান্ত এলাকায় গোলাগুলি বন্ধ হলেও বিজিবির টহল ছিল জোরদার। তবে সীমান্ত সিলগালার মতো পরিস্থিতি দেখা দিলেও আজ অবাধে সাধারণ জনগণ চলাফেরা করতে কোন বাধা নেই।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিজিবির একজন কর্মকর্তা জানান, সীমান্ত এখন শান্ত হলে ও আমাদের নজরদারি কড়া এবং টহল জোরদার রয়েছে।

এবিষয়ে ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, আজ থেকে বালাদেশ অভ্যন্তরে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা চলমান। শিশুরা রীতিমতো ইস্কুলে যাচ্ছে। বাজারে হাট বসছে। মসজিদে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামাতে আদায় হচ্ছে। রিক্সা,ইজিবাইক,ভ্যান গাড়ি হরদম চলছে। কৃষকেরা ক্ষেতে কাজ করছে। দোকানপাট সার্বক্ষণিক খোলা আছে। সরকারি, বেসরকারি অফিস রুটিনমাফিক চলছে। এতোদিন শুধু গোলাগুলির শব্দই আমাদেরকে অস্থিরতা আর উত্তেজনার কারণ। সমস্যা মিয়ানমারের। তাই গুজব ছড়িয়ে বা মিয়ানমার অভ্যন্তরের যুদ্ধকে বাংলাদেশ সীমান্তের যুদ্ধ বলে অতি উৎসাহীত হয়ে চালিয়ে দেয়ার কোন সুযোগ নেই। গুজব ছড়িয়ে ভীতিকর একটা পরিস্থিতি তৈরি না করি। আমি সকলকে নির্ভয়ে কাজে ফেরার আহ্বান জানিয়েছি।

এনজে