Bangladesh
This article was added by the user . TheWorldNews is not responsible for the content of the platform.

ফেসবুকে ৪ খুনের বর্ণনা রোহিঙ্গা যুবকের

কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে চার মাঝি খুনের ঘটনা অস্ত্র হাতে ফেসবুকে ভিডিও বার্তায় বর্ণনা দিয়েছেন এক রোহিঙ্গা যুবক। রোহিঙ্গা ওই যুবক ইসলামী মাহাজ নামে একটি সংগঠনের সদস্য বলেও দাবি করেছেন।

বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টায় মো. আব্দুল্লাহ নামে এক ফেসবুক আইডি থেকে ওই ভিডিও বার্তাটি আপলোড করা হয়।

রোহিঙ্গা যুবকের নাম মোহাম্মদ হাশিম। হাশিম মিয়ানমার বুচিডং কুয়ানচিবংয়ের পুর্বপাড়া আব্দুল জব্বারের ছেলে। বর্তমানে উখিয়ার বালুখালি ৯৩ ব্লকের ক্যাম্প-১৮ এর বসবাসকারী বলে দাবি করে সে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও বার্তাটি আপলোড করার পরপর মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওতে দেখা যায়, একটি বিদেশি পিস্তল হাতে নিয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের চার মাঝিকে কাকে কীভাবে হত্যা করেছিল তার বর্ণনা দিচ্ছে হাশিম।

ভিডিওতে রোহিঙ্গা যুবক বলেন, তার মতো আরও ২৫ জন যুবককে অস্ত্র দিয়েছে ইসলামী সংগঠন মাহাজ। যাদের কাজ ছিল হত্যার মিশন বাস্তবায়ন করা। যার জন্য তাদের দেয়া হতো মোটা অংকের টাকা। হেড মাঝি আজিম উদ্দিন, হেড মাঝি সানা উল্লাহ, হেড মাঝি জাফর ক্যাম্প-১৭ এর ইসমাইলকে তারা হত্যা করেছেন। এসময় ইসলামী মাহাজ সংগঠনের ৬ জন মুখপাত্রের নামও বলেন, তারা হলেন- জিম্মাদার সাহাব উদ্দিন, রহমত উল্লাহ, হেড মাঝি ভুঁইয়া, মৌলভী রফিক, কাদের ও খায়রু।

রোহিঙ্গা যুবক জানান, এই ৬ জন সংগঠনের নেতৃত্ব দিতেন। তাদের সামনে আরও বড় মিশন ছিল। কিন্তু সে নিজের ভুল বুঝতে পেরেছে। তাই এই খারাপ জগত ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে চায়। এদিকে মোহাম্মদ হাশিমের সেই ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে সেটি ভাইরাল হয়ে যায়।

৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ বলেন, রোহিঙ্গা যুবকের ভিডিও বার্তা আমাদের নজরে এসেছে ঘটনাটি আমরা যাচাই-বাচাই করছি। তার পরিচয় শনাক্ত করে তাকে আটকের চেষ্টা চলছে। এই যুবক যাদের নাম উল্লেখ করেছে, সেটিও তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ক্যাম্পে গোয়েন্দা নজরদারিও বৃদ্ধি করা হয়েছে।

এনজে