হারুন-অর-রশীদ, ফরিদপুর প্রতিনিধি : ফরিদপুরে সদর উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত করে নতুন কমিটি ঘোষণা করায় জেলা ছাত্রলীগের একাংশ প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে।
মঙ্গলবার দুপুরে মিছিলটি শহরের সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে ব্রাহ্ম সমাজ সড়ক, মুজিব সড়ক হয়ে ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
বিক্ষোভ মিছিল শেষে ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সামনে মুজিব সড়কে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি অমিয় সরকার।
প্রতিবাদ সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সদর উপজেলা সাবেক কমিটির সভাপতি আশীকুর রহমান, বিলুপ্ত করা সরকারি ইয়াছিন কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি সুপ্ত খান, বিলুপ্ত রাজেন্দ্র কলেজ ছাত্রলীগের বৃত্তি বিষয়ক সম্পাদক রাকিবুল হাসান ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য মনিরুজ্জামান।
বক্তারা বলেন, সদর উপজেলা কমিটি বিলুপ্ত করে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট যে কমিটি গঠন করা হয়েছে বিবাহিতদের দিয়ে। ঘোষিত কমিটির সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের বাচ্চাও আছে। কিছু কুচক্রী মহল ছাত্রলীগকে কলঙ্কিত করতে গঠণতন্ত্র বিরোধীভাবে এবং বিবাহিতদের দিয়ে কমিটি করছে। বক্তারা নতুন ঘোষিত কমিটি বাতিলের দাবি জানিয়ে বলেন, আমরা এ কমিটি মানি না মানবো না। বক্তারা ঘোষিত কমিটির সদস্যদের অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন।
জেলা ছাত্রলীগের নেতা ও কর্মীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, গত সোমবার জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তামজিদুর রশিদ চৌধুরী রিয়ান ও সাধারণ সম্পাদক মো. ফাহিম আহমেদ স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, ফরিদপুর সদর উপজেলা শাখার মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হল। সেই সঙ্গে সাংগঠনিক গতিশীলতা বৃদ্ধির জন্য আগামী এক বছরের জন্য নিম্মোক্ত কমিটি অনুমোদন দেওয়া হল।’
ওই বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট নতুন কমিটি গঠন করা হয়। এতে সভাপতি করা হয়েছে শাহীন আহমেদকে এবং সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে মেহেদী হাসানকে। অপর তিন সদস্য হলেন, সহ-সভাপতি শাকিল খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. শাহজাহান এবং সাংগঠনিক সম্পাদক মো. নিয়ামুল হোসেন।
এর আগে মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় সোমবার দুপুরে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পর পর দুটি প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ শাখ ছাত্রলীগ ও সরকারি ইয়াছিন কলেজ শাখা ছাত্রলীগের দুটি কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেন।
সদ্য ঘোষিত সদর উপজেলা কমিটির সভাপতি শাহীন আহমেদ বলেন, সদর উপজেলা কমিটি গত আট বছর আগে গঠিত হয়। সেই হিসেবে কমিটি মেয়াদউত্তীর্ণ হয়ে গিয়েছিল। এজন্য সংগঠনের কাজে গতিশীল করার জন্যই ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সাথে আলাপ করে জেলা কমিটি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, এতে দলের গঠনতন্ত্র লঙ্ঘিত হয়নি।
জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ফাহিম আহমেদ বলেন, সদর উপজেলা ছাত্রলীগের এ কমিটি আট বছর আগে গঠিত হয়েছে। ফলে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সম্পাদকের সাথে পরামর্শ করে কমিটি ভেঙ্গে নতুন কমিটি দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘নতুন কমিটির সভাপতি ও সম্পাদক বিবাহিত’ এটি প্রমাণ করতে পারলে তাদের অব্যাহতি দেওয়া হবে।