Bangladesh
This article was added by the user . TheWorldNews is not responsible for the content of the platform.

পল্লবীর আশিকের বিচার চাইলেন ভুক্তভোগীরা

পল্লবীর চিহ্নিত সন্ত্রাসী আশিকুল ইসলাম আশিক। তার বিরুদ্ধে ১০টি হত্যাসহ ১৬-১৭টি মামলা রয়েছে। তার অত্যাচার থেকে বাঁচতে ও তার বিরুদ্ধ দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণে প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট কাছে জরুরি হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।

  শনিবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব) মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান ভুক্তভোগীরা।

লিখিত বক্তব্যে ভুক্তভোগীরা বলেন, ২০১৬ সালে আশিক জাহানারা বেগমের ১২/ডি, ১৮/১০ নম্বর বাড়ির নিচতলার দোকানটি ৩ মাসের কথা বলে জোরপূর্বক ভাড়া নেয়। দোকানটি ছেড়ে দিতে বললে আশিক পিস্তল বের করে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে পুরো বাড়ি দখলের ভয় দেখায়। ওই দোকানে বখাটে ছেলেদের আড্ডা হয়। এ ব্যাপারে স্থানীয় এমপি ও থানা পুলিশকে অবহিত করা হলেও তারা কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। স্থানীয় ইট, বালু-সিমেন্ট ব্যবসায়ী আবু জাফর শিকদারকে প্রতি গাড়িতে ৫০০ টাকা করে চাঁদা দিতে বলে। না দেওয়ায় তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। ১২/সি, ১৭ নম্বর রোডের স্বর্ণ ব্যবসায়ী সারোয়ার হোসেনের স্বর্ণের দোকানটি দখল করে নেয়।

ভুক্তভোগী মীর আলাউদ্দিন বাপ্পীর মা সেতারা বেগমের ১২/সি, ২১/১৪ নম্বর বাড়িটি জোরপূর্বক লেখে নেয়। তার ১২/সি, ২১/১৩ নম্বর বাড়ি জোরপূর্বক দখল করতে প্রতারণামূলকভাবে বাপ্পীর মাকে দিয়ে বাপ্পীর বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা মামলা করায়। আদালত তদন্ত সাপেক্ষে বাপ্পীর পক্ষে রায় দিয়ে মামলাটি খারিজ করে দেন। স্থানীয় মুসলিম বাজারের মসজিদ ও মাদ্রাসার জমি জাল-জালিয়াতি করে দখলে নিয়ে সেখানে আশিক শপিং মার্কেট বানিয়েছে। ২০১৫ সালের মার্চ মাসে কাউন্সিলর প্রার্থী হিসেবে হলফনামায় তার বিরুদ্ধে হওয়া হত্যাসহ ৭টি মামলার কথা স্বীকার করলেও আরও ১১/১২টি মামলার তথ্য এড়িয়ে যায়। ট্যাক্স পেপার জাল-জালিয়াতি করে লাইসেন্স করা পিস্তল ও শর্টগান দেখিয়ে নিরীহ মানুষের কাছ থেকে চাঁদা আদায় ও বাড়ি দখল করে।

সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- আবু জাফর শিকদার, সাহেদ হোসেন মনা, জাহানারা বেগম, তারেক হোসেন বাদল, এমরান হোসেনসহ অন্যান্যরা।

অভিযোগ প্রসঙ্গে আশিকুল ইসলাম আশিক বলেন, তার বিরুদ্ধে করা অভিযোগগুলো সত্য নয়। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে এমন মিথ্যা অভিযোগ করছেন প্রতিপক্ষ।