Bangladesh
This article was added by the user . TheWorldNews is not responsible for the content of the platform.

পরপর দুই ম্যাচে অলরাউন্ড নৈপুণ্যে ম্যাচসেরা সাকিব

পরপর দুই ম্যাচে অলরাউন্ড নৈপুণ্যে ম্যাচসেরা সাকিব

পরপর দুই ম্যাচে অলরাউন্ড নৈপুণ্যে ম্যাচসেরা সাকিব

স্পোর্টস ডেস্ক: ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে উড়ন্ত ফর্মে রয়েছেন বাংলাদেশ দলের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। পরপর দুই ম্যাচে অলরাউন্ড নৈপুণ্যে দলকে জেতালেন তিনি। সোমবার লিগপর্বের শেষ ম্যাচে ঝড়ো ফিফটি হাঁকিয়ে গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিয়র্সকে টানা চতুর্থ জয় উপহার দিলেন সাকিব।

প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে গায়ানার বিপক্ষে আগে ব্যাট করে ১২৫ রানেই গুটিয়ে গিয়েছিল বার্বাডোজ রয়্যালস। জবাবে মাত্র ১৪.৩ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ জিতে নিয়েছে গায়ানা। দারুণ ফর্মে থাকা সাকিব আজ খেলেছেন ৩০ বলে ৫৩ রানের ইনিংস, বল হাতে নিয়েছেন একটি উইকেট।

নিজেদের প্রথম ছয় ম্যাচে মাত্র একটি জিতেছিল গায়ানা। যে কারণে প্রথম রাউন্ডে বাদ পড়ে যাওয়ার শঙ্কায় ছিল তারা। সাকিব আল হাসান ও রহমানউল্লাহ গুরবাজরা যোগ দেওয়ার পর শেষ চার ম্যাচের সবকয়টি জিতে দ্বিতীয় হয়ে প্লে-অফের টিকিট কাটলো শিমরন হেটমায়ারের দল।

ফলে ফাইনালে ওঠার জন্য দুইটি সুযোগ পাবে তারা। মঙ্গলবার রাতে প্রথম কোয়ালিফায়ারে আবার বার্বাডোজের বিপক্ষে খেলবে তারা। এই ম্যাচ জিতলে চলে যাবে ফাইনালে। হারলেও থাকবে সুযোগ। সেক্ষেত্রে এলিমিনেটর খেলা সেইন্ট লুসিয়া কিংস ও জ্যামাইকা তালাওয়াজের মধ্যকার জয়ী দলের বিপক্ষে হবে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার।

আগের ম্যাচে ৩৫ রান, ৩ উইকেট ও একটি রানআউটে ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতা সাকিব আজকের ম্যাচেও ছিলেন নিজের চিরচেনা রূপে। বার্বাডোজকে ১২৫ রানে গুটিয়ে দেওয়ার পথে ২.৩ ওভারে মাত্র ১২ রান খরচায় নিয়েছেন একটি উইকেট। পরে ঝড়ো ফিফটি হাঁকানোয় তার হাতেই উঠেছে ম্যাচসেরার পুরস্কার।

বার্বাডোজের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪২ রান করেন জেসন হোল্ডার। আজম খানের ব্যাট থেকে আসে ২০ রান। শেষদিকে মুজিব উর রহমান ১৫, ওবেদ ম্যাকয় ১০ ও র‍্যামন সাইমন্ডস ১৩ রান করলে ১২৫ রানে থামে বার্বাডোজ। গায়ানার পক্ষে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন রোমারিও শেফার্ড।

পরে রান তাড়া করতে নেমে চতুর্থ ওভারের মধ্যে মাত্র ১৮ রানে ২ উইকেট হারিয়ে খানিক বিপদেই পড়ে যায় গায়ানা। সেখান থেকে গুরবাজকে সঙ্গে নিয়ে পাল্টা আক্রমণ করেন সাকিব। এ দুজনের তৃতীয় উইকেট জুটিতে মাত্র ৭.২ ওভারে আসে ৭৯ রান।

দলীয় শতরান পূরণ হওয়ার আগেই সাজঘরে ফেরেন সাকিব। তবে তার আগে মাত্র ২৭ বলে ফিফটি ছোঁয়া ইনিংসে পাঁচ চার ও তিনটি ছয়ের মারে করেন ৩০ বলে ৫৩ রান। এছাড়া গুরবাজের ব্যাট থেকে আসে ২২ রান। সাকিবের এমন ব্যাটিংয়ের সুবাদে ৩৩ বল আগেই ম্যাচ জিতে নিয়েছে গায়ানা।