Bangladesh
This article was added by the user . TheWorldNews is not responsible for the content of the platform.

প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে আত্মগোপনে ছিলেন রহিমা

প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে আত্মগোপনে ছিলেন খুলনার আলোচিত রহিমা বেগম। তার আত্মগোপনের বিষয়টি পরিবারের জানা ছিলো বলেও জানতে পেরেছে পুলিশ। তারা জানিয়েছে, জমি-সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে স্বেচ্ছায় আত্মগোপন করেছিলেন তিনি- যা পরিবারের সদস্যরাও জানতেন। এ সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় তথ্য-প্রমাণ পেয়েছে মামলার তদন্তকারী সংস্থা পিবিআই। দ্রুত এ বিষয়ে প্রতিবেদন দেয়া হবে।

বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) পিবিআইয়ের খুলনা বিভাগীয় পুলিশ সুপার সৈয়দ মুশফিকুর রহমান এসব তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, স্বল্প সময়ের মধ্যে তদন্ত শেষ করে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে। বুধবার রহিমাকে ফরিদপুরে আশ্রয়দাতা আবদুল কুদ্দুস মোল্লার ছেলে আলামিন ও তার ভাগনে জয়নাল আবেদিন জামাল আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে গত মঙ্গলবার ফরিদপুরে পাঠানো হয়েছিল। ফরিদপুরের বোয়ালমারী সদর ইউপি চেয়ারম্যান লিখিত প্রত্যয়নপত্র দিয়েছেন, যাতে বলা হয়েছে- রহিমা বেগম তাঁর কাছে গিয়ে জন্মস্থান বোয়ালমারীর ইসলামপুর উল্লেখ করে জন্মনিবন্ধন সনদ করাতে চেয়েছিলেন। বাগেরহাটে থেকে তিনি গৃহপরিচারিকার কাজ করতেন বলেও জানান।

গত ২৭ সেপ্টেম্বর রাতে রহিমা বেগমের আত্মগোপনের সময় তার তৃতীয় স্বামী বেলাল হাওলাদার ওই বাড়িতে ছিলেন। রহিমা বাড়ি থেকে চলে যাওয়ার পর তাঁর ওড়না, স্যান্ডেল ও পানির বালতি বেলাল বাড়ির সামনে রেখে নিখোঁজের কথা ভাড়াটিয়াদের জানান।

সূত্র জানায়, রহিমার আত্মগোপনের বিষয় তাঁর স্বামী জানলেও মুখ খোলেননি। এ জন্য তাকে পাঁচদিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করা হয়েছে। এছাড়া, রহিমা বেগমের কথিত অপহরণ রহস্য উদ্ঘাটন করা গেছে। এ জন্য গ্রেপ্তার পাঁচজনকে আর জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে না বলে জানান তিনি।

পিবিআই বলছে, রহিমা বেগম প্রথমে বান্দরবান সদরের ইসলামপুর গ্রামে গিয়ে মনি বেগমের আশ্রয়ে ছিলেন। দুই-একদিনের মধ্যে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই পরিদর্শক আবদুল মান্নান বান্দরবানে গিয়ে মনি বেগমসহ সংশ্নিষ্টদের বক্তব্য গ্রহণ করবেন।

গত ২৭ আগস্ট খুলনা নগরীর মহেশ্বরপাশা এলাকার বাড়ি থেকে রহিমা বেগম রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হন। এ ঘটনায় তার মেয়ে আদুরি আকতার বাদী হয়ে পরদিন দৌলতপুর থানায় অপহরণ মামলা করেন। গত ২৪ সেপ্টেম্বর পুলিশ রহিমা বেগমকে ফরিদপুর থেকে উদ্ধার করে।