Bangladesh
This article was added by the user . TheWorldNews is not responsible for the content of the platform.

রাজনৈতিক উদ্দেশে কাউকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, রাজনৈতিক উদ্দেশে কাউকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না। তবে যারা আগুনসন্ত্রাসের জন্য অর্থ দিয়েছিল, হুকুম দিয়েছিল তাদের এখনো গ্রেপ্তার করা হয়নি, মানুষ মনে করছে যে তাদেরকেও গ্রেপ্তার করা দরকার।

সোমবার (৫ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকির সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

বিএনপির ১০ ডিসেম্বরের সম্মেলন প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সমাবেশের জন্য মাঠের বিকল্প মাঠ হতে পারে, রাস্তা হতে পারে না। কিন্তু বিএনপি সবসময় ব্যস্ত রাস্তার কথা বলছে। এটি দূরভিসন্ধিমূলক।

সমাবেশের ভেন্যু নিয়ে বিকল্প প্রস্তাব প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, জনসভা তো হয় ময়দানে, ব্যস্ত রাস্তায় হয় না। গাড়ি-ঘোড়া বন্ধ করে, মানুষকে আতংকের মধ্যে ফেলে জনসভা করা কোনো দায়িত্বশীল রাজনীতি দলের কাজ না। বাংলাদেশের ইতিহাসে সবসময় বড় জনসভা যে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে হয়েছে, সেটি তাদের পছন্দ না। তাদের শুধু রাস্তা পছন্দ কারণ সেখানে গাড়ি-ঘোড়া ভাংচুর করা যাবে এবং ২০১৩-১৪-১৫ সালের মতো বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে আগুন দেয়া যাবে।

হাছান মাহমুদ বলেন, আওয়ামী লীগের জনসভায় ভোগান্তি হলেই পত্রিকা লেখে, জনসভায় মানুষ হয়েছে তবে ভোগান্তি হয়েছে। জনসভা অবশ্যই ময়দানে হয়। চট্টগ্রামে যেমন আমরা জনসভা করেছি, লাখ লাখ মানুষের সমাবেশ হয়েছে। পাঁচ বর্গকিলোমিটার এলাকা পুরোটা ছিল মানুষে সয়লাব।

তিনি বলেন, বিএনপির সমাবেশের জন্য সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বিকল্প হতে পারে পূর্বাচল বাণিজ্য মেলার মাঠ বা টঙ্গীতে বিশ্ব ইস্তেমার মাঠ কিম্বা বুড়িগঙ্গার তীরেও মাঠ আছে, সেখানেও হতে পারে।

বিএনপির নেতাকর্মীদের গণহারে গ্রেপ্তারের অভিযোগ প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ বলেন, সরকার পয়লা ডিসেম্বর থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিজয় দিবস, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস এবং ইংরেজি নববর্ষ সামনে রেখে প্রতি বছরই বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। এগুলো নতুন কিছু নয়, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেও নয়। সারাদেশে রাজনীতির নামে যারা ২০১৩-১৪-১৫ সালে আগুনসন্ত্রাস চালিয়েছিল, মানুষ হত্যার মহোৎসব করেছিল, তারা তো বিএনপির নেতাকর্মী। তাদের কাউকে যদি গ্রেপ্তার করা হয়, সেটি আইনগত বিষয়।

এমকে