বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় গণসমাবেশে যোগ দিতে আসা নেতাকর্মীরা ঐতিহাসিক মাদ্রাসা মাঠে ঢুকতে শুরু করেছেন ।
শনিবার (৩ ডিসেম্বর) ভোর ৬টার দিকে পুলিশ গেটের তিন দিকের তিনটি গেটের তালা খুলে দিলে তারা মাঠে ঢুকতে শুরু করেন। তবে সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত মঞ্চে শীর্ষ নেতাদের কেউ আসেননি। সকাল ১০টার দিকে সমাবেশ শুরু হতে পারে।
এর আগে গত বুধবার এই মাঠে সমাবেশ করার অনুমতি পায় বিএনপি। পুলিশ দুপুর ২টা থেকে বিকাল ৫টার মধ্যে সমাবেশ শেষ করতে বলেছে। সমাবেশে যোগ দিতে তিন দিন আগেই নেতাকর্মীদের অনেকে রাজশাহী চলে আসেন।
তবে সমাবেশের অনুমতি দেওয়ার সময় পুলিশের শর্ত ছিল, সমাবেশের আগে নেতাকর্মীরা মাঠে ঢুকতে পারবেন না। শর্ত মেনে নেতাকর্মীদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছিল সমাবেশের মাঠ সংলগ্ন ঈদগাহ ময়দানে। তিন দিন ধরে নেতাকর্মীরা সেখানে অবস্থান করছেন।
শনিবার সকালে মাদ্রাসা মাঠে মাইকগুলো পরীক্ষা করে নেওয়ার কাজ করতে দেখা গেছে। অন্যদিকে ঈদগাহ মাঠে খিচুড়ি, চা-মুড়ি ও চিড়া-গুড় দিয়ে নেতাকর্মীদের সকালের নাস্তা সারতে দেখা গেছে। নাস্তা শেষ করেই নেতাকর্মীরা ছুটছিলেন পাশের মাদ্রাসা মাঠে।
তাবুর নিচে নাস্তা করতে করতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর ইউনিয়ন কৃষকদলের ২ নম্বর ওয়ার্ডের আহ্বায়ক জাকির হোসেন জানালেন, খিচুড়ি খাওয়া শেষ করেই তারা মাঠে ঢুকবেন। সঙ্গে নিয়ে যাবেন চিড়া-গুড় আর পানি। দুপুরে খাওয়ার কোন পরিকল্পনা নেই। সমাবেশ শেষেই বাড়ি ফিরবেন।
দীর্ঘ দিন ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি দেশের সব বিভাগীয় শহরেই এই সমাবেশ করছে। দেশের আটটি বিভাগীয় শহরে এই সমাবেশ হয়েছে। ৯ম সমাবেশটি হচ্ছে রাজশাহীতে। এই সমাবেশে রাজশাহী বিভাগের আট জেলার নেতাকর্মীরা যোগ দিয়েছেন।
সমাবেশ ঘিরে সতর্ক অবস্থায় আছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। আজ (শনিবার) সকাল থেকে শহরের প্রতিটি মোড়ে মোড়ে পুলিশ দেখা গেছে। এছাড়া শহরে ঢোকার তিন দিকের পথের ১৭টি পয়েন্টে পুলিশ চেকপোস্ট পরিচালনা করা হচ্ছে। মাদ্রাসা ময়দান ও এর আশপাশের পুরো এলাকা ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরার মাধ্যমে নজরদারি করছে পুলিশ।