Bangladesh
This article was added by the user . TheWorldNews is not responsible for the content of the platform.

রহমতের বৃষ্টি হলো কাবা প্রাঙ্গণে, পবিত্র ঘর স্পর্শ করছেন মুসল্লিরা

রহমতের বৃষ্টি হলো কাবা প্রাঙ্গণে, পবিত্র ঘর স্পর্শ করছেন মুসল্লিরা

রহমতের বৃষ্টি হলো কাবা প্রাঙ্গণে, পবিত্র ঘর স্পর্শ করছেন মুসল্লিরা

ইসলাম ডেস্ক : মক্কার পবিত্র মসজিদুল হারামে কয়েক দিন পর পর বৃষ্টি হচ্ছে। গতকাল মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) রাতে মুষলধারে রহমতের বৃষ্টি বর্ষিত হয়। বৃষ্টিস্নাত কাবা প্রাঙ্গণের দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এসময় পবিত্র মসজিদের জেনারেল প্রেসিডেন্সির পক্ষ থেকে মুসল্লিদের মধ্যে ছাতা বিতরণ করা হয়।

হজের পর পবিত্র কাবাঘরে মুসল্লিদের ভিড় বেড়েছে বহুগুণ। প্রবল বৃষ্টি বর্ষণে তীব্র তাপ থেকে মুক্তি মেলে মুসল্লিদের। এসময়ে প্রবল বৃষ্টি মুসল্লিদের মধ্যে তৈরি করেছে অন্য রকম অনুভূতি। অনাবিল প্রশান্তি ছুঁয়েছে সবার অন্তর।  

ভিডিওতে দেখা যায়, বৃষ্টিতে ভিজে মুসল্লিরা তাওয়াফ ও নামাজ আদায় করছেন। কাবাঘর স্পর্শ করে বৃষ্টির পানি ছুঁয়ে দেখছেন অনেকে। বৃষ্টিস্নাত কাবা ঘরের দৃশ্য ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজেদের আবেগ-অনুভূতি প্রকাশ করছেন অনেকে।

জেনারেল প্রেসিডেন্সির স্বেচ্ছাসেবা ও মানবিক পরিষেবা বিভাগের প্রধান খালিদ বিন ফাহদ আল-শালাভি জানান, বৃষ্টির সময় ইবাদত নিশ্চিত করতে প্রাথমিকভাবে মুসল্লিদের মধ্যে ছাতা বিরতণ করা হয়েছে।  

গত ২ আগস্ট করোনাকালের দীর্ঘ দুই বছর পর পবিত্র কাবাঘরের চারপাশে স্থাপিত সুরক্ষা বেষ্টনী সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ফলে পবিত্র কাবাঘরের দেয়াল ও হাজরে আসওয়াত বা বরকতময় কালো পাথর সরাসারি স্পর্শ করছেন মুসল্লিরা। 

২০২০ সালের জুলাইয়ে করোনা সংক্রমণ রোধে ও মুসল্লিদের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে এই বেষ্টনী দেওয়া হয়েছিল। এসময় কাবাঘর ও আসওয়াদ বা কালো পাথর স্পর্শ বা চুম্বন করতে পারেননি মুসল্লিরা।   

গত ৮ জুলাই পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এবছর  হজ পালন করেন ১০ লাখ মুসল্লি। ২০২১ সালে হজ পালন করেন ৫৮ হাজার ৭৪৫ জন। ২০২০ সালে কঠোর বিধি-নিষেধ মেনে ১০ হাজার লোক হজ পালন করেন। মহামারির আগে ২০ লাখের বেশি লোক হজ পালন করতেন।

২০২০ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি করোনা মহামারির প্রাদুর্ভাবের পর প্রথমবারের মতো সতর্কতামূলক কঠোর বিধি-নিষেধ জারি করে সৌদি আরব। তখন ওমরাহ পালনসহ দৈনিক নামাজ আদায়ে সাময়িক সীমাবদ্ধ করা হয়। পরবর্তী সময়ে ধাপে ধাপে সীমিত পরিসরে ওমরাহ ও হজ কার্যক্রমের ব্যবস্থা করা হয়।