আবারও সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার তারিখ পিছিয়েছে। এ নিয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তদন্ত শেষ করার জন্য এখন পর্যন্ত ৯২ বার তারিখ নিলেন।
সোমবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র্যাবের অতিরিক্ত সুপারিন্টেনডেন্ট খন্দকার শফিকুল আলম প্রতিবেদন জমা দিতে ব্যর্থ হলে ঢাকা মহানগর হাকিম দেবদাস চন্দ্র অধিকারী এ আদেশ দেন।
আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নকে (র্যাব) তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছেন আদালত।
বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল মাছরাঙ্গার বার্তা সম্পাদক সাগর ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রুনিকে ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ভোরে তাদের রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়া বাসায় হত্যা করা হয়। হত্যাকাণ্ডের সময় ফ্ল্যাটটিতে ছিলেন তাদের ৫ বছর বয়সী একমাত্র পুত্র মাহির সারোয়ার মেঘ।
সাগর-রুনি হত্যার ঘটনায় রুনির ভাই নওশের আলম বাদী হয়ে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় রুনির বন্ধু তানভীর রহমানসহ অন্য আসামিরা হলেন- বাড়ির নিরাপত্তাকর্মী এনাম আহমেদ ওরফে হুমায়ুন কবির, রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মিন্টু ওরফে বারগিরা মিন্টু ওরফে মাসুম মিন্টু, কামরুল হাসান অরুণ, পলাশ রুদ্র পাল, তানভীর ও আবু সাঈদ।
প্রথমে এ মামলা তদন্ত করছিল শেরেবাংলা নগর থানার পুলিশ। চার দিন পর মামলার তদন্তভার ডিএমপির গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়। তদন্তের দায়িত্ব পাওয়ার ৬২ দিনের মাথায় ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল হাইকোর্টে ব্যর্থতা স্বীকার করে ডিবি। এরপর আদালত র্যাবকে মামলা তদন্তের নির্দেশ দেন। তখন থেকে মামলাটির তদন্ত করছে র্যাব।
দায়িত্ব পেয়ে ডিএনএসহ অন্যান্য বায়োমেট্রিক আলামত সংগ্রহের জন্য ঘটনাস্থল থেকে বটি, নিহতদের পরিধেয় কাপড়সহ বেশ কিছু বস্তু পরীক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ল্যাবে পাঠায় সংস্থাটি। তবে কিছুতেই কিছু হয়নি। হত্যা রহস্য উদঘাটন হয়নি ১০ বছরেও।
অর্থসূচক/এএইচআর