Bangladesh
This article was added by the user . TheWorldNews is not responsible for the content of the platform.

সিডন্সই শেখাবেন ছক্কা মারা

একজন পাওয়ার হিটার কোচের সন্ধানে ছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ব্যাটসম্যানরা যেন শরীরের জোর খাটিয়ে বল সীমানার বাইরে ফেলতে পারেন সেজন্য একজন বিশেষজ্ঞ কোচ খুঁজছিল তারা। কিন্তু ব্যাটিং কোচ জেমি সিডন্সের আগ্রহে আপাতত সেখান থেকে সরে এসেছে বোর্ড। অস্ট্রেলিয়ান কোচ নিজেই ব্যাটসম্যানদের পাওয়ার হিটিং শেখাবেন বলে জানিয়েছেন। 

এজন্য গত চারদিন ধরে সাকিব, মুশফিক, মিরাজ, এনামুলদের নিয়ে মিরপুরে কাজও করছেন সিডন্স। বোলিং মেশিন দিয়ে বল ছুড়ে নিয়মিত শিষ্যদের ট্রেনিং করাচ্ছেন। পাওয়ার হিটিংয়ের ক্ষেত্রে শরীরের জোরের সঙ্গে বলের রিফ্লেক্স, পায়ের ব্যবহারগুলো অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত। অনেক সময় টাইমিং মেলালেও বল সীমানা পেরিয়ে যায়। সেগুলো নিয়েই সিডন্স কাজ করছেন। 

বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বৃহস্পতিবার ক্রিকেটারদের ঐচ্ছিক অনুশীলন দেখতে হাজির হয়েছিলেন মিরপুর শের-ই-বাংলায়। সাকিবের ব্যাটিং তিনি দেখতে পারেননি। মুশফিক, মিরাজের ব্যাটিং দেখেছেন ড্রেসিংরুমে বসে। এরপর সেখান থেকে বেরিয়ে মাঠে যান। মুশফিক, এনামুলদের সঙ্গে কিছুক্ষণ কথা বলে স্টেডিয়াম থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পথে গণমাধ্যমে নাজমুল হাসান বলেছেন,‘কদিন আগে জিমি (জেমি সিডন্স) আমার বাসায় এসেছিল। কিছু বিষয় নিয়ে আমরা আলোচনা করছিলাম। আমরা একটা পাওয়ার হিটিং কোচ নিয়ে আলোচনা করছিলাম। তখন জিমি বললো, ওর নাকি এটাতে বিশেষত্ব আছে। তাই নিজেই কাজ করতে চাচ্ছে। আমরা তাকে কাজ চালিয়ে যেতে বলেছি।’ 

শুধু এশিয়া কাপ নয়, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের কথা চিন্তা করেই বিসিবি পাওয়ার হিটিং কোচ খুঁজছিল, ‘এই এশিয়া কাপ না, আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে পরবর্তী বিশ্বকাপ। কারণ, ওইটা আরও চ্যালেঞ্জিং। কারণ, সেটা অস্ট্রেলিয়ায়। ওইসব জায়গায় তো আমরা এমনিতেই স্ট্রাগল করি। সেটার কথা মাথায় রেখে আমরা কাজ করছি। এই এশিয়া কাপে আমরা কিছু জিনিস পরিবর্তন করে দেখতে চাচ্ছি যে সব ঠিক আছে কি না। এজন্য বেশি সময় নেই। হঠাৎ করে একজন কোচ এনে সব উন্নতি করে ফেলবো ভাবা ঠিক হবে না।’ 

ব্যাটসম্যানদের বড় রান না পাওয়ার পেছনে বিভিন্ন কারণের অন্যতম ভাবনা। রক্ষণাত্মক মনোভাবে না খেলে ব্যাটসম্যানরা আগ্রাসী হলেই বড় পুঁজি পাওয়া যাবে বলে বিশ্বাস নাজমুল হাসানের, ‘যদি আমরা জিততে চাই বা ভালো করতে চাই টি-টোয়েন্টির ভাবনাটা পরিবর্তন করতে হবে। এর কোনও বিকল্প নেই। ১৩০ করে একটা ম্যাচ জিততে পারবেন না। এটা তো হতে পারে না। আমাদের ১৮০-২০০ করতে হবে। এটা মাথায় রাখতে হবে। এখন আমাদের যে পরিকল্পনা সেটা করার কোনও লক্ষণই দেখছি না। এটাকে নতুন করে কী করা যায় তা নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। ’