Bangladesh
This article was added by the user . TheWorldNews is not responsible for the content of the platform.

সিলেটে যুক্তরাজ্য প্রবাসী সামিরাও না ফেরার দেশে

১১ দিন আইসিউতে চিকিৎসাধীন থাকার পর না ফেরার দেশে চলে গেলেন গেলেন যুক্তরাজ্য প্রবাসী সামিরা বেগম (২০)। শুক্রবার (৫ আগস্ট) রাত দেড়টার দিকে সিলেট এম এ জি ওসমানী হাসপাতালে তিনি মারা যান। 

এর আগে মারা গিয়েছিলেন বাবা রফিকুল ইসলাম (৫০) ও ভাই মাইকুল ইসলাম (১৬)। 

গত ২৬ জুলাই সিলেটের ওসমানীনগরের একটি বাসা থেকে সামিরাসহ একই পরিবারের পাঁচ যুক্তরাজ্য প্রবাসীকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে ওসমানীনগর থানা পুলিশ। ৫ জনের মধ্যে তিনজনই মারা গেছেন। তবে এখন পর্যন্ত এই ঘটনার রহস্য উদঘাটন করা যায়নি।

ওসমানী নগর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাঈন উদ্দিন জানান, ঘটনার পর থেকে মারা যাওয়া সামিরার জ্ঞান না ফেরায় শঙ্কায় ছিলেন তার ডাক্তাররা। দীর্ঘ ১১ দিন আইসিউতে থাকার পর তিনি শুক্রবার রাত দেড়টার দিকে তিনি মারা যান।

ঘটনার রহস্য উদঘাটন প্রসঙ্গে ওসি বলেন, অনেক আলামত সিআইডির ফরেনসিক ল্যাবে পাঠানো হয়। ল্যাব থেকে রিপোর্ট আসলে ঘটনার মূল কারণ জানা যাবে।

গত ২৬ জুলাই মঙ্গলবার সিলেটের ওসমানীনগরের একটি বাসা থেকে একই পরিবারের পাঁচ যুক্তরাজ্য প্রবাসীকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে ওসমানীনগর থানা পুলিশ। হাসপাতালে নেওয়ার পর এদের মধ্য থেকে রফিকুল ইসলাম (৫০) ও তার ছোট ছেলে মাইকুল ইসলাম (১৬) মারা যান। একই দিন আশঙ্কাজনক অবস্থায় রফিকুল ইসলামের স্ত্রী হোসনে আরা বেগম (৪৫), ছেলে সাদিকুল ইসলাম (২৫) এবং মেয়ে সামিরা ইসলামকে (২০) সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে হোসনে আরা ও ছেলে সাদিকুল ইসলামের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় গত দুদিন থেকে তারা তাদের বাড়িতে অবস্থান করছেন। গত ২৮ জুলাই (বৃহস্পতিবার) ময়নাতদন্ত শেষে দুপুর সোয়া ২টায় দয়ামীর ইউনিয়নের পারকুল মাদ্রাসা মাঠে নিহতদের জানাজার পর তাদের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। সর্বশেষ প্রবাসী রফিকুল ইসলামের মেয়েও মারা যান।