Bangladesh
This article was added by the user . TheWorldNews is not responsible for the content of the platform.

সংশোধিত খসড়া তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন দ্রুত পাস করার দাবি

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল (যাত্রী পরিবহন) সংস্থার নেতারা বলেছেন, ‘অনেক যাত্রীবাহী নৌযানে এখনো অবাধে ধূমপান করা হয়। নৌযানে তামাকজাত পণ্যের অবাধ প্রদর্শন ও বিক্রি অব্যাহত আছে। আইনে সরাসরি এ সম্পর্কে কোনো বাধা না থাকায় সংশ্লিষ্টরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারছেন না। এজন্য সংশোধিত খসড়া তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন দ্রুত পাস করতে হবে।’

শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) ঢাকা আহছানিয়া মিশনের সঙ্গে ‘তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনে করণীয়’ শীর্ষক যৌথ মতবিনিময় সভায় তারা এসব কথা বলেন।

রাজধানীর পল্টনে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল (যাত্রী পরিবহন) সংস্থার সভাকক্ষে সংস্থাটির সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. বদিউজ্জামান বাদলের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন—ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডস বাংলাদেশের গ্র্যান্টস ম্যানেজার আবদুস সালাম মিয়া, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল (যাত্রী পরিবহন) সংস্থার ভাইস প্রেসিডেন্ট আবুল কালাম খান, পরিচালক এস এম আব্দুল জাব্বার, মো. মামুন অর রশিদ, সদস্য মো. আব্দুল কাইয়ুম শেখ, মহাসচিব মো. ছিদ্দিকুর রহমান পাটওয়ারী, সিও এস এম রফিকুল ইসলাম, ঢাকা আহছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য সেক্টরের উপ-পরিচালক মো. মোখলেছুর রহমান, তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের সমন্বয়কারী মো. শরিফুল ইসলাম, মিডিয়া ম্যানেজার রেজাউর রহমান রিজভী, প্রোগ্রাম অফিসার শারমিন আক্তার রিনি, অদুত রহমান ইমন প্রমুখ।

মতবিনিময় সভায় বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের বেশকিছু দুর্বলতা তুলে ধরা হয়।

সভায় আবদুস সালাম মিয়া বলেন, ‘সংশোধিত খসড়া তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন পাস হলে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের যে ফাঁকগুলো আছে, সেগুলো বন্ধ হবে। তামাকের ব্যবহার কমবে ও নতুন করে কেউ তামাক গ্রহণ করতে নিরুৎসাহিত হবে। ফলে পরোক্ষ ধূমপানের ক্ষতির হাত থেকে অধূমপায়ীরা রক্ষা পাবেন। লঞ্চসহ পাবলিক পরিবহনগুলোতে ধূমপান পুরোপুরি বন্ধ করা সম্ভব হবে।’

মো. বদিউজ্জামান বাদল বলেন, ‘বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল (যাত্রী পরিবহন) সংস্থা এর আগেও তামাকবিরোধী নানা কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল। ভবিষ্যতেও আমরা তামাকবিরোধী কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত থাকব।’