Bangladesh
This article was added by the user . TheWorldNews is not responsible for the content of the platform.

স্টেডিয়াম ৯৭৪-এ এমবাপ্পের ‘থাই ম্যাজিক’ 

প্রথম ১ ঘণ্টায় যখন কোনো গোল হলো না তখন ব্যবধান গড়ে দিয়েছিলেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। আবার যখন সমতায় থেকে পয়েন্ট ভাগাভাগির দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল দল তখন আসেন আবার ত্রাতা হয়ে। থাইয়ের স্পর্শে দ্বিতীয় গোল করে ফ্রান্সকে নিয়ে গেলেন শেষ ষোলোতে।

স্টেডিয়াম ৯৭৪-এ গ্রুপ ডি থেকে শনিবার (২৬ নভেম্বর) মাঠে নামে ফ্রান্স-ডেনমার্ক। এমবাপ্পের জোড়া গোলে ২-১ ব্যবধানে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ফরাসিরা। ডেনমার্কের হয়ে একমাত্র গোল করেন ক্রিস্টেনসেন।

২ ম্যাচে ফ্রান্সের ২টিতে জয়ে সর্বোচ্চ ৪ পয়েন্ট ফরাসিদের। অন্যদিকে ড্যানিশদের সমান ১টি করে ড্র ও হার। শেষ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জিততে পারলেই ফ্রান্সের পর এই গ্রুপ থেকে শেষ ষোলোতে যেতে পারবে তারা। আর হারলে যাবে অস্ট্রলিয়া!

প্রথমার্ধে ফরাসিরা মুহুর্মুহু আক্রমণ করেও গোলের দেখা পায়নি। অথচ তারা ১৩টি শট নিয়েছিল। যার মধ্যে তিনটি অন টার্গেট। যদিও এতে নিজেদের মিসের দায়টাই বেশি। প্রথমার্ধে ডেনমার্কের আক্রমণের ধার ছিল না খুব একটা। বল দখলের লড়াইয়ে দুই দলই সমানে সমান ছিল যদিও।

বিরতির পর যেন ঘুম ভাঙে ফরাসিদের। ৬১ মিনিটে লক্ষ্যভেদ করেন ফরাসি স্ট্রাইকার। ডি বক্সের বাঁ পাশ দিয়ে হার্নান্দেজ ঢুকেন বল নিয়ে। ওয়ান টু ওয়ান পাসে আবার যায় এমবাপ্পের কাছে। নিখুঁত শটে ড্যানিশদের জালে বল পাঠিয়ে দেন এমবাপ্পে। বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে পড়েও রুখতে পারেননি ড্যানিশ গোলরক্ষক।

৭ মিনিট পরেই আবার ড্যানিশ ম্যাজিক। এরিকসেন একটি দারুণ কর্নার কিক নেন। ডান দিকে বল এলে সেখানে থাকা অ্যান্ডারসেন গোলমুখে পাঠান ক্রিসটেনসেনের কাছে। ক্রিসটেনসেন লরিসকে ফাঁকি দিয়ে জড়ান ফরাসিদের জালে। ১-১ গোলে সমতা। জমে উঠে দুই দলের লড়াই।

ডেনমার্কের একটি শট বার ঘেঁষেও যায়। দুর্ভাগ্য গোল হয়নি। ফ্রান্সও বেশ কয়েকটি সুযোগ পায়। ৮৬ মিনিটে ত্রাতা হয়ে আসেন আবার এমবাপ্পে। এবার দেখা যায় তার থাই ম্যাজিক!

ডান দিকে একটি দারুণ ক্রস করেন গ্রিজম্যান। গোলের দুই গজ দূরে থাকা এমবাপ্পে লাফিয়ে উঠে থাইয়ের টোকায় বল পাঠিয়ে দেন জালে। ড্যানিশ গোলরক্ষকের কোনো সুযোগই দেননি। ফ্রান্সের হয়ে শেষ ১২ ম্যাচে তিনি ১৪ গোল করেন।

দারুণ এই ক্রসে একটি রেকর্ডেও নাম লেখান গ্রিজম্যান। বিশ্বকাপের মাত্র ২ ম্যাচেই তিনি ৯টি গোলের সুযোগ তৈরি করেন।এর আগে জিনেদিন জিদান ফ্রান্সের হয়ে ১৯৯৮ সালে এমন নজির গড়েছিলেন। 

অস্ট্রেলিয়াকে হালি গোল দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু হয়েছিল বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের। এবার ড্যানিশদের বধ করে টিকিট কাটলো পরের পর্বের। এমবাপ্পেরা এভাবে ছুটতে থাকলে তাদের রুখবে কে?