সড়ক অবৈধ গাড়ি পার্কিং উচ্ছেদের জেরে গাজীপুরের টঙ্গীতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ট্রাক-কাভার্ডভ্যান শ্রমিকরা।
শনিবার (০১ অক্টোবর) বিকেলে টঙ্গীর চেরাগআলী ট্রাক স্ট্যান্ড এলাকায় অবরোধের সময় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা পুলিশের একটি টহল গাড়িও ভাঙচুর করে। এতে পুলিশের এক এসআই ও দুই কনস্টেবল আহত হয়েছেন। গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
শ্রমিকদের ঘন্টাব্যাপী অবরোধের কারণে মহাসড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
পরিবহন শ্রমিক ও প্রত্যক্ষদর্শীদের থেকে জানা গেছে, টঙ্গীর মেঘনা রোডে অবৈধভাবে ট্রাক-কাভার্ডভ্যান পার্কিং করে রাখায় প্রায়ই যানজটের সৃষ্টি হয় । সেই কারনে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার মেহেদি হাসান অবৈধ পার্কিং করে রাখা গাড়িগুলো সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ দেন।
কিন্তু শ্রমিকরা নির্দেশ অমান্য করে সময়ক্ষেপণ করায় পুলিশ কর্মকর্তা মেহেদি হাসান নিজে দাঁড়িয়ে থেকে ২৫ থেকে ৩০টি গাড়ির গ্লাস ও হেডলাইট ভাঙচুর করেন। এ খবর ট্রাক স্ট্যান্ডের শ্রমিকদের মাঝে ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজিত শ্রমিকরা বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে সাড়ে ৪টা পর্যন্ত মহাসড়কের দুই পাশ অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। এতে মহাসড়কের দুই পাশেই ভয়াবহ যানজট সৃষ্টি হয়।
এ সময় টঙ্গী পূর্ব থানার টহল গাড়ি আটকে রেখে ভাঙচুর চালায় উত্তেজিত শ্রমিকরা। এতে পুলিশের এসআই কায়সার হাসান, কনস্টেবল মাসুদ রানা ও ড্রাইভার আনিসুল আহত হন। তাদেরকে উদ্ধার করে রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিকদের বুঝিয়ে মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দেন।
পুলিশের উপ-কমিশনার (ট্রাফিক) আলমগীর হোসেন বলেন, ‘সড়কের ওপর গাড়ি পার্কিং নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি থেকে অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। এ ঘটনার জন্য যারা দায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেয়া হবে। পাশাপাশি পুলিশের গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
অর্থসূচক/ এইচএআই