Bangladesh
This article was added by the user . TheWorldNews is not responsible for the content of the platform.

উন্নয়ন স্তব্ধ করতে চক্রান্ত করছে বিএনপি: লিটন

রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, ‘বাংলাদেশে যখন উন্নয়ন দৃশ্যমান, সেই সময় দেশের উন্নয়নকে স্তব্ধ করার জন্য চক্রান্ত করছে বিএনপি।’

তিনি বলেন, ‘যারা বলছে, বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা হবে, ডলার নেই। বাংলাদেশের আমদানি করার মতো অর্থ নেই, তারা মূর্খের স্বর্গে বাস করছে।’

রোববার (২৭ নভেম্বর) বিকেলে নগরীর শাহমখদুম থানা আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল শেষে এক প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ‘বিএনপির নেতৃবৃন্দ পলিসি নিয়েছেন, দুই-তিনদিন আগে সমাবেশের মাঠে গিয়ে পিকনিক করার মতো সবাই এক জায়গায় জমায়েত বসিয়ে কোথাও হাড়িতে রান্না হচ্ছে, কোথাও গান-বাজনা হচ্ছে, কোথাও গল্প-আড্ডা হচ্ছে। এই যদি আপনাদের (বিএনপির) রাজনীতি হয়, ওই রাজনীতি আপনারা করতে থাকেন। ইনশাল্লাহ এসব করে আমাদের পশমও ছিঁড়তে পারবেন না।’

তিনি বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে ছিলেন। শেখ হাসিনার বদন্যতায় তাকে বাসভবনে থাকার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তিনি নড়তে পারেন না, চড়তে পারেন না, একজন অসুস্থ মানুষ। বিএনপির ঘোষণা অনুযায়ী তিনি ১১ ডিসেম্বর থেকে বাংলাদেশ চালাবেন এটি কী বিশ্বাসযোগ্য? তার সন্তান লন্ডনে বসে আছে। মানি লন্ডারিং মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি। আর খালেদা জিয়া এতিমের অর্থ আত্মসাৎ মামলার আসামি। দুইজনই ইতিমধ্যে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষিত হয়ে গেছেন। তারা এসে বাংলাদেশে কী নির্বাচন করবেন, কীভাবে ক্ষমতা নেবেন, এটি আমাদের বোধগম্য নয়।’

বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘আগামী ৩ ডিসেম্বর রাজশাহীতে বিএনপি চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর, নওগাঁ, জয়পুরহাট, বগুড়া, রাজশাহী জেলাসহ বিভিন্ন স্থান থেকে কয়টা লোক আনতে পারে, কয় লক্ষ লোক আনতে পারে সেটা আমরাও দেখতে চাই। কারণ অতীতেও দেখেছি, মাদ্রাসা মাঠের ওই রাস্তাটায় তারা ঠিকমতো ভরাট করতে পারে না।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে বসবাস করে মির্জা ফখরুলরা তাদের লোকদের মাধ্যমে লন্ডনে, মালয়েশিয়া, সৌদি আরবে আমাদের প্রবাসী ভাইদের উসকানি দিয়ে বলছে, ব্যাংকিং চ্যানেলে টাকা পাঠালে টাকা কম পাওয়া যায়, হুন্ডিতে টাকা পাঠালে বেশি পাওয়া যাবে। তারা কী দেশপ্রেমিক হতে পারে? তারা দেশের ক্ষতি করছে, প্রবাসী শ্রমিক ভাইদের প্ররোচিত করছে।’

তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রসঙ্গে লিটন বলেন, ‘বিএনপি বলছে, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচনে যাব না। নির্বাচন হতে দিবো না।’ এটি বিএনপি ও তাদের সঙ্গে যারা আছে তাদের কথা। দেশটা কি বিএনপি-জামায়াতের বাপ-দাদার তালুক? যে তাদের কথায় চলবে? সংবিধান সংশোধন করা হয়েছে। উচ্চতর আদালত থেকে রায় এসেছে যে, আর কেয়ারটেকার সরকারের দরকার নেই। উন্নত বিশ্বে ভারত, ইংল্যান্ড ইত্যাদি দেশে ক্ষমতাসীন সরকার বহাল থেকে নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে যেভাবে নির্বাচন হয়, বাংলাদেশেও সেভাবে নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচনে আমরা তাদেরকে আসার জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। তাদের সব কথাতেই না। ২০১৪ সাল থেকে শুরু হয়েছে এই না বলা। সেই না এখনো চলছে। ওই না’য়ে বাংলাদেশ থেমে নেই। বাংলাদেশ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে।’