Bangladesh
This article was added by the user . TheWorldNews is not responsible for the content of the platform.

যে বিষয়ে জাহ্নবীকে সাবধান করেছিলেন মা শ্রীদেবী!

যে বিষয়ে জাহ্নবীকে সাবধান করেছিলেন মা শ্রীদেবী!

যে বিষয়ে জাহ্নবীকে সাবধান করেছিলেন মা শ্রীদেবী!

বিনোদন ডেস্ক : মেয়ে তরতরিয়ে উন্নতি করছে। মা যদি দেখে যেতেন! এখনও কি শ্রীদেবীর দুশ্চিন্তা থাকত জাহ্নবীকে নিয়ে? সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে মায়ের বলা কথাগুলিই ভাগ করে নিলেন ‘ধড়ক’-এর নায়িকা জাহ্নবী কপূর।

জাহ্নবীকে সাবধান করেছিলেন মা শ্রীদেবী!। শ্রীদেবী মেয়েকে বলেছিলেন, ইন্ডাস্ট্রিতে ঢুকলে কপালে অনেক দুঃখ আছে। জাহ্নবীকে ‘কঠোর’ হতে হবে। বলিউডে জীবন নির্মম। নরম হৃদয়ে আঘাত আসতে পারে প্রতিনিয়ত। সে সব সামলাতে পারবেন না জাহ্নবী, এমনই ছিল শ্রীদেবীর আশঙ্কা। তবে মেয়ে বলেছিলেন, ‘‘দেখো মা, ঠিক পারব।’’

কেমন পারলেন বা আদৌ পারছেন কি না, তা অবশ্য মাকে না দেখাতে পারার আফসোস রয়েই গেল জাহ্নবীর। ২০১৮ সাল, ২৪ ফেব্রুয়ারি। 

সবাইকে কান্নায় ভাসিয়ে দুবাইয়ে মারা যান শ্রীদেবী। সেখানে তিনি একটি পারিবারিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন। ১৯৯৬ সালে প্রযোজক বনি কপূরের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন অভিনেত্রী। তাঁদের জীবনে আশীর্বাদ হয়ে আসেন কন্যা জাহ্নবী আর খুশি।

সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মায়ের কথা বলতে গিয়ে স্মৃতিকাতর হয়ে পড়েছিলেন জাহ্নবী। অভিনয় জীবনে আসার সিদ্ধান্তের পিছনেও যে রয়েছে মাকে খুশি করার জেদ, সে কথা অকপটে জানালেন। 

বললেন, ‘‘মা বলত, ইন্ডাস্ট্রিতে থাকতে গেলে যতটা কঠোর হতে হবে তাতে মানুষ হিসাবে বদলে যাবে তুমি। এই ঝরঝরে নরম মনের মেয়েটি আর থাকবে না। এটা আমি চাই না। তা ছাড়া, লোকে যখন আমার ৩০০টা কাজের সঙ্গে তোমার প্রথম কাজটার তুলনা করবে, পারবে তো সামলাতে?’’

জাহ্নবী সেই শুনে মাকে বলেছিলেন, তিনি জানেন কাজটি কঠিন হবে। কিন্তু অভিনয়ে না এলে তাঁরও যে ভাল লাগবে না। সারাজীবন দুঃখে কাটবে!

যখন জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, সত্যিই শ্রীদেবীর সঙ্গে জাহ্নবীর তুলনা হচ্ছে কি না, অভিনেত্রী বললেন, ‘‘হ্যাঁ, অবশ্যই। লোকে মায়ের করা ৩০০ ছবির সঙ্গে আমার প্রথম চারটি ছবির তুলনা করছে। আমি অন্য কিছু জানি না, তবে মায়ের জন্যই কেরিয়ার গোছাচ্ছি। মায়ের মুখ উজ্জ্বল করতে হবে তো! আমি এ ভাবে ছেড়ে যেতে পারি না।’’

১৯৬৩ সালে জন্ম শ্রী আম্মা ইয়াঙ্গের আয়াপ্পান ওরফে শ্রীদেবীর। ‘চাঁদনি’, ‘লমহে’, ‘মিস্টার ইন্ডিয়া’, ‘চালবাজ’, ‘নাগিনা’, ‘সদমা’ এবং ‘ইংলিশ ভিংলিশ’-এর মতো জনপ্রিয় হিন্দি ছবিতে আইকনিক উপস্থিতি রেখে যান নায়িকা। 

পদ্মশ্রী সম্মানপ্রাপ্ত অভিনেত্রী তামিল, তেলুগু, হিন্দি, মালায়ালাম এবং কন্নড় চলচ্চিত্রে নিজের জায়গা করে নিয়েছিলেন। মৃত্যুর পরও জিতে নিয়েছিলেন জাতীয় স্তরে সেরা অভিনেত্রীর সম্মান।-আনন্দবাজার